আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
আস সালামু আলাইকুম
আমার ছয়টি  প্রশ্ন ছিল
১। আমার কাজা নামাজ গুলো যদি আমি এভাবে পরতে চায় তাহলে কোন সমস্যা হবে নাকি ?
ফজর নামাজের ওয়াক্তে যদি প্রথমে বিগত নামাজের কাজা হিসাবে প্রথমে কাজা  নামাজ পরি  তারপর সুন্নাত পরি তারাপর জামাতে নামাজ পরি তাহলে কোন  সমস্যা হবে নাকি? একই সাথে যদি কোন কারণে ঘুম থেকে  উঠতে দেরি হয়ে যায় এবং শুধু ফরজ নামাজ পড়ার সময় পাই তাহলে সূর্য উঠার পর সুন্নাত পড়তে হবে কিনা ? অথবা এমন সময় মসজিদে পোঁছালাম যে,  জামাত  শুরু হয়ে গেছে তখন আমার করনীয় কি?
২। একইভাবে যদি বাকি  ওয়াক্তের কাযা নামাজ গুলো  অন্যান্য ওয়াক্তে এভাবে আদায় ( ফরজ ও সুন্নাতের আগে) করি  তাহলে কোন সমস্যা হবে কিনা ?
৩। কোন কারণে যদি বাড়িতে  নামাজ পড়া লাগে তাহলে ফজর, মাগরিব এবং এশার নামাজের কিরাত জোড়ে না পরে আস্তে ( শব্দ না করে) পড়া যাবে কিনা?
৪। আমার সহধর্মিণী যদি নামাজ পড়তে অসলতা করে এবং তাকে  নামাজ পড়াতে উৎসাহ্  প্রদানের নিয়াতে মসজিদে না যেয়ে তাকে নিয়ে বাড়িতে জামাত করে নামাজ পড়ি তাহলে গুনাহ হবে কিনা? এবং আমার স্ত্রী ইকামত দিতে পারবে কী না?
৫। নামাজে ওয়াজিব ছুটে গেলে সাহুসিজদা দিয়ার সহি পন্থা কি?
৬। বিতির নামাজ এক রাকাত পরলে গুনাহ হবে কি না?

1 Answer

0 votes
by (695,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
সুন্নত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত। 

হাদিসে এর প্রভূত ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, যা অন্য সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়নি।

شرح مشكل الآثار (10/ 320،321)
'' عن عائشة رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " ركعتا الفجر خير من الدنيا وما فيها۔

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)।

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " لا تتركوا ركعتي الفجر وإن طردتكم الخيل۔ "
مصنف عبد الرزاق الصنعاني (2/ 444)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া করলেও তোমরা এই দুই রাকাত কখনো ত্যাগ কোরো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে আপনি কাজা নামাজ আদায় করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।

প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে সূর্য উঠার পর সুন্নাত পড়তে হবেনা।

★মসজিদে গিয়ে যদি দেখা যায় জামা'আত দাড়িয়ে গিয়েছে ,তাহলে দেখতে হবে যে 
যদি ইমামের সাথে শেষ বৈঠকে শরীক হওয়ার আশা থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে আগে সুন্নাত পড়বে,তারপর জামা'আতে শরিক হবে । 
,
যদি শেষ বৈঠকে শরীক হওয়ার আশা না থাকে,
বরং জামা'আত শেষ হওয়ার আশংকা থাকে,তাহলে আগে সুন্নাত পড়বেনা।  

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 377)
''(وكذا يكره تطوع عند إقامة صلاة مكتوبة) أي إقامة إمام مذهبه ؛ لحديث: «إذا أقيمت الصلاة فلا صلاة إلا المكتوبة» (إلا سنة فجر إن لم يخف فوت جماعتها) ولو بإدراك تشهدها، فإن خاف تركها أصلاً۔
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজের জামা'আত দাড়িয়ে গেলে নফল ইত্যাদি পড়া মাকরুহ।
তবে ফজরের সুন্নাত,যদি জামা'আত ছুটে যাওয়ার ভয় না থাকে।
যদিও তাশাহুদে এসে ইমামকে পাওয়ার আশা রাখুক,,,  

আরো জানুনঃ 
,
এক্ষেত্রে যদি সুন্নাত আদায় করা সম্ভব না হয়,তাহলে কাজা আদায় করবেন।

ফজরের সুন্নাত কাযা হয়ে গেলে সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে নিয়ে জোহরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত (নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতিত) পড়া যাবে।  
এর পরও যদি পড়া না হয়,তাহলে আর সেটার কাযা আদায় করার সুযোগ নেই।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/১১২)

হাদীস শরীফে এসেছে    

وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعد ما تطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)

আরো জানুনঃ

(০২)
না,সমস্যা হবেনা।

(০৩)
হ্যাঁ, পড়া যাবে।

(০৪)
এতে জামাত ত্যাগ করার গুনাহ হবে।

আপনার স্ত্রী ইকামত দিতে পারবেনা।

(০৫)
আপনি তাশাহহুদ পড়ে ডান দিকে সালাম ফিরিয়ে আবার তাশাহুদ,দরুদ শরীফ,দোয়ায়ে মাছুড়া পড়ে শেষ করে ২ বার সালাম ফিরাবেন।

(০৬)
হানাফি মাযহাব মোতাবেক এতে বিতর নামাজ আদায় হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...