আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেবের নিকট মধু ব্যবসা সম্পর্কিত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা জানতে চাই।
সময় সুযোগ করে জানিয়ে উপকৃত করবেন।
মাসআলা নং–১:
আমি সরাসরি মধু কাটার জন্য মৌয়ালদের (মৌচাষী) কাছে যাই এবং সেখান থেকেই মধু ক্রয় করি।
কাটার সময় দেখি, তারা গৃহস্থের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মধু দেয় না, কিছু কম দেয় এবং এ কথাটাও তারা স্বীকার করে।
এখন প্রশ্ন হলো—
১️⃣ এভাবে নেওয়া মধু আমাদের জন্য হালাল হবে কি না?
২️⃣ আগে যদি এমন মধু নিয়ে থাকি, তাহলে কী করা উচিত?
---
মাসআলা নং–২:
আমার অনেক কাস্টমার চান যে, তারা নিজে সরাসরি গিয়ে চাক কেটে মধু নেবেন।
এই ক্ষেত্রে আমি কাস্টমার ও মৌয়ালের মধ্যে মধ্যস্থ (দ্বিতীয় পক্ষ) হিসেবে কাজ করি।
উদাহরণস্বরূপ:
কাস্টমার ১০,০০০ টাকায় মৌয়ালের কাছ থেকে মধু নিচ্ছে, আর মৌয়ালের সাথে আমার চুক্তি ৮,০০০ টাকায়।
ফলে মৌয়াল আমাকে ২,০০০ টাকা ফেরত দেয় — এই পরিস্থিতিতে আমার করণীয় কী হবে?
প্রথম সুরত (সংক্ষেপিত):
আমি যদি কাউকে উকিল (প্রতিনিধি) বানাতে চাই, তাহলে কি সরাসরি মৌয়ালদের মধ্য থেকেই বানানো যাবে?
কারণ সাধারণত যাদের কাছ থেকে মধু নিই, তারা সবাই মৌয়াল এবং সবাই বিক্রির লাভে অংশ নেয় — কাটুক বা না কাটুক।
এই অবস্থায় তাদের মধ্য থেকে কাউকে উকিল বানানো শরীয়ত অনুযায়ী জায়েজ হবে কি না, সেটাই জানতে চাই।
দ্বিতীয় সুরত:
আমি মৌয়ালের সাথে আগে থেকে এমন চুক্তি করি যে —
“আমি তোমার মধু এত দামে বিক্রি করব, আর প্রতি কেজিতে আমার জন্য এত টাকা লাভ থাকবে।”
এভাবে করা জায়েজ হবে কি না?
উপরোক্ত দুই পদ্ধতির মধ্যে কোনটি জায়েজ, কোনটি নয় — এবং যদি না হয়, তবে সঠিক ও শরীয়তসম্মত পদ্ধতিটা কী হবে?
(বিশেষত, অনলাইন কাস্টমারদের কথা বলছি — যারা সরাসরি দেখা করতে পারেনা এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন। আবার মধু কাটার সময় অন্য এলাকায় যেতে হয়, তাই একত্র হওয়াও সবসময় সম্ভব হয় না।)উদাহরণ স্বরূপ কাস্টমার থাকে ঢাকায় আমি থাকি চট্টগ্রামে মধুর চাক থাকে রংপুরে)