আপনি যে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন, তা ইমাম আহমদ (রহ.), ইবনে হিব্বান, ও তাবারানী প্রমুখ বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে।
হাদীসটি হলো:
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال:
"من اشترى ثوبًا بعشرة دراهم، وفيها درهم من حرام، لم تُقبل له صلاة ما دام عليه."
(মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ৫৭৮৭)
অর্থ:
“যে ব্যক্তি দশ দিরহাম দিয়ে একটি কাপড় ক্রয় করল, যার মধ্যে এক দিরহাম হারাম অর্থ ছিল — যতক্ষণ সে সেই কাপড় পরিধান করবে, তার নামাজ কবুল হবে না।”
হাদীসের অর্থ ও ব্যাখ্যা (ফায়দা)
ইমাম নববী, ইবনে রাজব, ইবনে হজর প্রমুখ হাদীস ব্যাখ্যাকারগণ বলেন —
এখানে ‘কবুল হবে না’ (لَا تُقْبَلُ) কথাটির দুইটি সম্ভাব্য অর্থ আছে:
1. কবুল = আদায় না হওয়া (অর্থাৎ নামাজ বাতিল হওয়া)
2. কবুল = সওয়াব না পাওয়া, তবে ফরয আদায় হয়ে যাওয়া
এখানে দ্বিতীয় অর্থটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য, এবং মুহাদ্দিসগণ ও ফিকহবিদগণ সাধারণত দ্বিতীয় অর্থই নিয়েছেন।
ইমাম নববী (রহ.) বলেন:
“যেখানে হাদীসে ‘লা তুকবাল’ (কবুল হবে না) শব্দটি এসেছে, তা অনেক সময় সওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়া, আমল আদায় হয়নি এমনটি নয়।”
(শরহ মুসলিম, নববী)
ইবনে হজর আল আসকালানী (রহ.) বলেন:
“এখানে নামাজ আদায় হয়ে যায়, কিন্তু হালাল-হারামের মিশ্রণ থাকায় আল্লাহর নিকট তা গ্রহণযোগ্যতার মর্যাদা পায় না।”
(ফাতহুল বারী, ১/৪৪৭)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক এবং ইমাম আহমদ (রহ.) — সকলেই একমত যে:
যদি কারো পোশাক নাপাক বা গায়েবীভাবে অপবিত্র না হয়, বরং অর্থের দিক থেকে হারাম হয়, তাহলে নামাজ আদায় হয়ে যাবে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সেই নামাজ কবুল করবেননা,অর্থাৎ তার ফরজিয়াত আদায় হয়ে,সেই নামাজ তাকে পুনরায় আদায় করতে হবেনা,তবে সেই নামাজের ছওয়াব সে পাবেনা।