আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited ago by
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আগের প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলেছিলেন যে, হারাম জানার পরেও আলহামদুলিল্লাহ বললে ঈমান থাকবে না। কিন্তু এই ব্যাপার গুলো তে কি করবো হুজুর?
১) আমার ছোট বোন স্কুলে গান গেয়ে পুরস্কার পেয়েছে। গান গাওয়া তো হারাম। এই ক্ষেত্রে কি আলহামদুলিল্লাহ বললে ঈমানে সমস্যা হবে? আমি আলহামদুলিল্লাহ বলতেছি সে যে পুরস্কার পেয়েছে এই জন্য। কোনো ঠাট্টা বিদ্রুপ করে না। তাহলে কি ঈমানে সমস্যা হবে?

২) পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি করে ঘুষ দিয়ে।  সেটা জানার পরেও যদি তাকে যদি  আলহামদুলিল্লাহ বলে শুভ কামনা জানাই,  ঈমান চলে যাবে?

৩)হুজুর জেনেরাল লাইনে পড়াশোনা করি। কোনো মেয়ে ফ্রেন্ড যদি ফেসবুকে ছবি দেয় তার হাসবেন্ড সহ, এটা তো হারাম এভাবে ছবি দেয়া। হারাম জেনেও তো কেউ যদি কমেন্ট করে মাশাল্লাহ। তোদের ভালো লাগতেছে। সুন্দর লাগতেছে। তাহলে কি তার ঈমানে সমস্যা হবে?

৪)  হারাম জানার পরেও,  হারাম কাজে এমনি তেই যদি মাশা আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, ইন শা আল্লাহ বলা হয়, যেমন: তুমি তো অনেক ভালো গান করো - এটা বলার পরে কেঊ যদি মাশা আল্লাহ বলে, এমন ভাবে যদি এমনিতেই, কোনো ঠাট্টা না করে মাশা আল্লাহ,   ইন শা আল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ও বলে তার কি ঈমান চলে যাবে?
ago by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম। একটা প্রশ্ন বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। তাই এডিট করলাম। মাফ করে দিবেন। বেয়াদবী নিবেন না হুজুর। 

1 Answer

0 votes
ago by (726,510 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...