ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
দাড়িয়ে নামায পড়া সম্ভব না হলে যেভাবে সম্ভব হয় সেভাবেই নামাযকে আদায় করতে হবে।নামাযের প্রত্যেকটি ফরয কে আদায় করতে হবে।যদি অসুস্থতার ধরুণ কোনো ফরয রুকুন কে আদায় করা সম্ভব না হয়,তাহলে যেভাবে সম্ভব হয় সেভাবেই নামাযকে আদায় করতে হবে।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1162
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুজন বিজ্ঞ মুসলমান ডাক্তার যখন থেকে রুকু সিজদা থেকে বারণ করবে, তখন থেকেই মূলত ইশারার মাধ্যমে রুক সিজদা করা লাগবে। আর দাড়ানোতে যেহেতু গর্ভের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, তাই প্রতি রাকাতে দাড়াতে হবে। যে সমস্ত নামায ইতিপূর্বে পড়া হয়ে গিয়েছে, সে সমস্ত নামাযকে আর কাযা করতে হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/13062
্গর্ভাবস্থায় যা কিছু বের হয়, সবগলোই ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।
(২)
আপনার নানী শরীয়তের মুকাল্লাফ নন। তাই উনি যেভাবে ভালো মনে করেন, সেভাবেই নামায আদায় করবেন। নামায সম্ভব না হলে উনি তাসবিহ পাঠ করবেন।
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاَةِ، فَقَالَ: «صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»
আমার একবার অর্শগেজ হয়ে গেলো।আমি এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসা করলাম।তখন তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,তুমি দাড়িয়ে নামায পড়বে,তারপর দাড়ানো সম্ভব না হলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসেও সম্ভব না হয় তাহলে হেলান দিয়ে নামায আদায় করবে।(সহীহ বোখারী-১১১৭)