আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ শায়েখ
শর্তযুক্ত তালাক নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল। আমার স্ত্রীকে তার ক্লাসের একজন ছেলে মেসেজ করে আমার স্ত্রী আমাকে জানালে আমি আমার স্ত্রীকে একটি শর্ত দেই যে সে যদি রিপ্লাই করে বা আমাকে না জানিয়ে পরবর্তীতে রিপ্লাই করে তাহলে তালাক, তো এটা শুনে আমার স্ত্রী সাথে সাথে ছেলেকে ব্লক করেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সে শর্ত দেওয়ার সময় আমি আরো কিছু শর্ত দিয়ে দেই রাগের মাথায় যে তুমি  অন্য কোন ছেলেকে যদি " প্রেমের উদ্দেশ্য "নক দিলেও সমস্যা হবে তখন আমার স্ত্রী বলে "এভাবে বললে তো বুঝব না তুমি কি সব ছেলে বুঝাচ্ছো ? একটু ক্লিয়ার করে নামগুলো বললে ভালো হয় সাবধান থাকব " তো আমি তখন বলি যে মনে অন্য উদ্দেশ্য নিয়ে (প্রেমের উদ্দেশ্য) কোনো ছেলেকে নক দিবা না এবং আমি তাকে কিছু ব্যাক্তির নামও বলি যে এদের সাথেও কথা বলবা না। যাই হোক তো আমার স্ত্রী এখন পর্যন্ত সাবধানে আছে যাদের নাম বলেছিলাম তাদের সবাইকে ব্লক করেন। তো দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে ওর ক্লাসের কাজ সাবমিট করতে অনেক সময় শিক্ষক কে ইনবক্সে নক দেওয়া লাগে আবার রুকাইয়া আপডেট জানাতে (জিন জনিত সমস্যা) হুজুরদের মেসেজ করে রাখা লাগে এরা সবাই নন মাহরাম। এতে কি শর্ত ভঙ্গ হলো? কারণ আমি বলেছিলাম প্রেমের উদ্দেশ্য কাউকে নক দিতে‌ না জাস্ট এটাই.
আমার বেশ সন্দেহ হচ্ছে এই নিয়ে যে আমি কি আগে এটা বলেছি কিনা "যে কোন ছেলেকে নক দিলে তালাক , আমার স্ত্রীও মনে করতে পারছে না এক্সাক্টলি কি বলেছি দুজন কনফিউজড। কিন্তু এটা সিউর আমি বলেছিলাম প্রেমের উদ্দেশ্য নক করলে তালাক হবে আমার স্ত্রীও সিউর তাই সে এ খারাপ উদ্দেশ্যে নিয়ে কোনোদিনই কারো সাথে কথা বলে নাই নকও দেয় নাই দরকার ছাড়া।
জাস্ট এটা একটু উওর দেন এক্ষেত্রে শর্ত ভঙ্গ হলো কিনা? এবং আমরা দুজন যেহেতু সন্দিহান শর্ত সাপেক্ষে তালাকের হুবহু বাক্য নিয়ে তাই এখন কোনটা ধরে নিব ? ১.এটা ধরব যে প্রেমের উদ্দেশ্য নক করলে তালাক (যেহেতু এটা দুজন নিশ্চিত)
২. যে কোনো ছেলেকে নক করলে তালাক হবে ( এটা একদম নিশ্চিত না ৫০/৫০ হয়তো বলেছি হয়তো না )

আমাদের ক্ষেত্রে  বিধান কি হবে
by (3 points)
আর একটি ব্যাপার হুজুর সে প্রেমের উদ্দেশ্য ছাড়া যে শিক্ষক কে নক দিয়েছিল শুধুমাত্র পড়াশোনা রিলেটেড দুটো কথা হয়েছে। অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। শর্ত দেওয়ার অনেক মাস আগে আমার স্ত্রী একদিন বলছিল এই শিক্ষক কে নিয়ে যে সার বয়সকালে অনেক ভালো দেখতে ছিল এখন তো বুড়া তাই বুঝা যায় না আগের চেহারার সাথে মিল নাই। তো সে ভয় পাচ্ছে যে অনেক মাস আগে তার করা এই মন্তব্য ও এখন শর্ত দেওয়ার পর শুধুমাত্র জায়েজ বিষয়ে নক দেওয়ার জন্য শর্ত ভঙ্গ হলো কিনা? যদিও নক দেওয়ার সময় তার উদ্দেশ্য শুধু এটাই ছিল এসাইনমেন্ট রিলেটেড সমস্যার সমাধান আর কিছু না। 

1 Answer

0 votes
ago by (724,500 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না। যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে, আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ - ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) একমাত্র প্রেমের উদ্দেশ্য নিয়ে নক করলে তালাক হবে। যেহেতু এ ব্যাপারে আপনারা দুজনই নিশ্চিত।
(২) যে কোনো ছেলেকে নক করলে তালাক হবে না। যেহেতু আপনারা এই শর্তে সম্পর্কে নিশ্চিত নন।তাই ৫০/৫০ ধারণা থাকার কারণে কোনো তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...