ওয়াসওয়াসা থেকে বাচতে করণীয় কি?

Question

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। কোন মানুষ যদি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়। প্রশ্ন করতে করতে যদি হতাশ হয়ে পড়ে।বিশেষ করে যদি তালাকের ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত হয়।সবসময় ধরেন প্রশ্ন করার পর এমন চিন্তা আসত তালাক না হওয়ার ফতোয়া দিক হুজুররা। অনেক বড় বড় ধরেন প্রশ্ন করত।মনে যদি এমন চিন্তা আসে বড় প্রশ্ন করলে কি হুজুররা ভালো করে পড়ে না?আবার যদি এমন চিন্তা আসে থাক যেমন হবে হোক তালাক হবে না বললে হল।আবার হয়ত প্রশ্ন ও করা হয়ে থাকবে পুরো প্রশ্ন পড়ে বুঝে উত্তর  দেওয়া হয় কিনা এই ওয়েব সাইটে ।হয়ত ধরেন প্রায় সব বা বেশির ভাগ ওয়াসওয়াসার কারণে আসা প্রশ্ন। এমন অবস্থা হয়ত চিন্তা করার শক্তি ও লোপ পেতে বসে এমন অবস্থায়।সবসময় ভয় আর যদি মনে আসে ফতোয়া যেন ভালো আসে যেরকম হবে হোক।তখন ধরেন মানুষটার জানা ছিল না এডিট করা যায় না।অনেক প্রশ্ন ধরেন এডিট ও করা হত।

এসব হলে কি গুণাহ হয়? এমন কারো হলে আবার প্রশ্ন করা উচিত হবে?হঠাৎ কোন মানুষের মনে যদি আসে এসব প্রশ্ন করার সময় কোন নফসের অনুসরণ করেছে কিনা মানে ফতোয়া ভালো আসার জন্য বড় বড় লিখেছে কিনা কিন্তু সন পড়ে উত্তর দেওয়া হলে এসব চিন্তা কারো আসলে কি কোন সমস্যা হয়?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ

এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।[সহীহ বুখারীঃ ৭২৮৮, সহীহ মুসলিম: ১৩৩৭] এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1379

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

ওয়াসওয়াসা মূলত ইলম কম থাকার কারণে তৈরী হয়। বিশেষত তালাক ও পবিত্রতা এবং হালাল হারাম বিষয়ে মৌলিক ধারণা না থাকার দরুণ ওয়াসওয়াসা তৈরী হয়। ওয়াসওয়াসা দূর করার সবচেয়ে নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য ও ফলফসু মাধ্যমে হল, সরাসরি কারো কাছ থেকে উক্ত বিষয়ে বিশদ ধারণা গ্রহণ করা। তাহলে ওয়াসওয়াসা কিছুটা হলেও দূর হবে। প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত প্রশ্নটাই ওয়াসওয়াসা জনিত প্রশ্ন। এবং এর সমাধান হল, স্থানীয় পর্যায়ে কারো কাছ থেকে উক্ত বিষয়ে জেনে নেওয়া।