আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,113 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (27 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম। বর্তমানে অনলাইনে অনেক জায়গায় দেখি যে নবিজি মাশ রুম খেতেন এবং এটি তার পছন্দ ছিল।আল্লাহ ভাল জানেন।কিন্তু আমি এ বিষয়ে সন্দেহ ভাজন কারন অনলাইনের এসব প্রচারে কোন স্পষ্ট দলিল পাইনি। যদি এ বিষয়টি সত্য হই তবে কিছু দলিল উল্লেখ করবেন দয়া করে। এবং ইসলাম মাশ রুম খাওয়া সম্পরকে কি বলে?
আমি বিশেষ করে নবিজির মাশ রুমের পছন্দনিয়তা সম্পরকে জানতে চাচ্ছি কারন আমি আমার বড় ভাইকে না বুঝেই বলেছিলাম যে নবি জি তা পছন্দ করতেন। আমি কোনো ভাবেই নবিজির প্রতি মিথ্যাচার করতে চাই না , আস্তাগফিরুল্লাহ। তাই সঠিক তথ্য জানতে চাচ্ছি
closed

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মাশরুম একটি হালাল খাবার ।
সহিহ মুসলিমের ৫১৬৯ নং হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، وَعُمَرُ بْنُ عُبَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو، بْنِ نُفَيْلٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْكَمْأَةُ مِنَ الْمَنِّ وَمَاؤُهَا شِفَاءٌ لِلْعَيْنِ " .

কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) জারির (রহঃ) থেকে, অন্য সনদে ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... সাঈদ ইবনু যায়দ ইবনু আমর ইবনু নুফায়ল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, কামআ (মাশরুম) মান্না জাতীয়। আর এর পানি (রস) চোখের জন্য ঔষধ বিশেষ।
,

সুরা বাকারার ৫৭ নং আয়াতে মহান  আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ ظَلَّلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡغَمَامَ وَ اَنۡزَلۡنَا عَلَیۡکُمُ الۡمَنَّ وَ السَّلۡوٰی ؕ کُلُوۡا مِنۡ طَیِّبٰتِ مَا رَزَقۡنٰکُمۡ ؕ وَ مَا ظَلَمُوۡنَا وَ لٰکِنۡ کَانُوۡۤا اَنۡفُسَهُمۡ یَظۡلِمُوۡنَ ﴿۵۷﴾

আর আমি তোমাদের উপর মেঘের ছায়া দিলাম এবং তোমাদের প্রতি নাযিল করলাম ‘মান্না’ও ‘সালওয়া’। তোমরা সে পবিত্র বস্ত্ত থেকে আহার কর, যা আমি তোমাদেরকে রিয্ক দিয়েছি। আর তারা আমার প্রতি যুলম করেনি, বরং তারা নিজদেরকেই যুলম করত।

    
এই আয়াতের ব্যখ্যায় বলা হয়েছেঃ   
ইসরাঈল-বংশধরদের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন-এর প্রেরিত আসমানী খাবার। যা গাছের উপরে কুয়াশার ন্যায় জমা হয়ে থাকত। এ সম্পর্কে সায়ীদ ইবনে যায়েদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “আল-কামআ” [এক প্রকার উদ্ভিদ, যা অনেকটা মাশরুমের মত] মান্না এর অন্তর্ভুক্ত। আর এর পানি চোখের আরোগ্য। [বুখারীঃ ৪৪৭৮] আর সালওয়া হলো এক প্রকার পাখি, যা চড়ুই পাখি থেকে আকারে একটু বড়।
অধিকাংশ মুফাসসিরগণের মতে এটা মিসর ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী তীহ্ প্রান্তরের ঘটনা। যখন তারা আল্লাহর আদেশে আমালিকাদের জনপদে প্রবেশ করতে অস্বীকার করেছিল এবং তারই শাস্তি স্বরূপ বানী-ইস্রাঈল চল্লিশ বছর পর্যন্ত তীহ্ প্রান্তরে পড়েছিল। কারো কারো নিকট এই নির্দিষ্টীকরণও সঠিক নয়। সীনা (সিনাই) মরুভূমিতে অবতরণের পর যখন সর্বপ্রথম পানি ও খাদ্যের সমস্যা দেখা দিল, তখন এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
,
অনেকের মতে 'মান্ন্' আল্লাহর অবতীর্ণ এক প্রকার ক্বুদরতী চিনি যা পাথর, গাছের পাতা ও ঘাসের উপর শিশির-বিন্দুর মত জমা হত; যা মধুর মত মিষ্টি হত এবং শুকিয়ে আঠার মত জমে যেত। আবার কেউ বলেছেন, এটা মধু বা মিষ্টি পানি। বুখারী ও মুসলিম ইত্যাদির বর্ণনায় এসেছে যে, ছত্রাক (ব্যাঙের ছাতা) মূসা (আঃ)-এর উপর নাযিল হওয়া এক প্রকার 'মান্ন্' এর অর্থ হল, যেভাবে বানী-ইস্রাঈলরা বিনা পরিশ্রমে 'মান্ন্' খাদ্য লাভ করেছিল, অনুরূপ ছত্রাক আপনা আপনিই হয়, কাউকে তা লাগাতে হয় না। (তাফসীর আহসানুত্ তাফাসীর) আর 'সালওয়া' এক প্রকার পাখী যাকে জবাই করে তারা ভক্ষণ করত। (ফাতহুল ক্বাদীর)
,
★তবে এটি রাসুলুল্লাহ সাঃ এটি পছন্দনীয় খাবার ছিলো,এ মর্মে কোনো হাদীস পাইনি।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...