আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম ,
আমি জানি যে, একবার নবীজিﷺ সিজদাহতে থাকা অবস্থায় কিছু কাফের নবীজিরﷺ কাধের উপর উটের নারিভুরি রেখে দেয়। নামাজ শেষে নবীজিﷺ তাদের উপর বদদোয়া করেন।

আমি জানতে চাই, একজন নারী পর্দা করে এবং দ্বীন পালনের চেষ্টা করায় কেউ যদি তারউপর ময়লা নোংরা পানি ফেলে, তখন তাদের বিরুদ্ধে কী ওইরকম বদদোয়া করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (695,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ ﷺ سَاجِدٌ عِنْدَ الْبَيْتِ وَجَمَاعَةٌ مِنْ قُرَيْشٍ جُلُوسٌ، إِذْ قَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: أَيُّكُمْ يَقُومُ إِلَى جَزُورِ بَنِي فُلَانٍ فَيَأْخُذُ سَلَاهَا، فَيَضَعُهَا عَلَى ظَهْرِ مُحَمَّدٍ ﷺ إِذَا سَجَدَ؟ فَانْبَعَثَ أَشْقَاهُمْ، فَلَمَّا سَجَدَ النَّبِيُّ ﷺ وَضَعَهَا عَلَى ظَهْرِهِ بَيْنَ كَتِفَيْهِ، وَإِنِّي لَأَنْظُرُ، فَجَعَلُوا يَضْحَكُونَ، وَيَمِيلُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ، وَرَسُولُ اللَّهِ ﷺ سَاجِدٌ لَا يَرْفَعُ رَأْسَهُ حَتَّى جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَطَرَحَتْ عَنْهُ ذَلِكَ، ثُمَّ أَقْبَلَتْ عَلَيْهِمْ تَسُبُّهُمْ، فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ ﷺ صَلَاتَهُ رَفَعَ صَوْتَهُ ثُمَّ دَعَا عَلَيْهِمْ، وَكَانَ إِذَا دَعَا دَعَا ثَلَاثًا، وَإِذَا سَأَلَ سَأَلَ ثَلَاثًا، ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ» ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، فَلَمَّا سَمِعُوا صَوْتَهُ ذَهَبَ عَنْهُمُ الضَّحِكُ، وَخَافُوا دَعْوَتَهُ، ثُمَّ سَمَّى: «اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِأَبِي جَهْلٍ، وَبِعُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَشَيْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ، وَالْوَلِيدِ بْنِ عُتْبَةَ، وَأُمَيَّةَ بْنِ خَلَفٍ، وَعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ».
قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ الَّذِينَ عَدَّ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ قُتِلُوا يَوْمَ بَدْرٍ، فَأُلْقُوا فِي الْقَلِيبِ غَيْرَ أُمَيَّةَ، أَوْ كَمَا قَالَ.

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন —
একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ কাবার কাছে সিজদাহতে ছিলেন, আর কুরাইশদের একদল সেখানে বসেছিল। তখন তাদের কেউ কেউ বলল, “তোমাদের মধ্যে কে যাবে অমুক বনী-ফুলানের উটটি যে গতকাল জবাই করা হয়েছিল, তার নাড়িভুঁড়ি (অন্ত্র) এনে মুহাম্মদ ﷺ -এর পিঠে রেখে আসবে যখন তিনি সিজদাহ করবেন?”

তাদের মধ্যে সবচেয়ে অভিশপ্ত ব্যক্তি উঠে গেল। নবীজি ﷺ যখন সিজদাহে গেলেন, সে এসে উটের নাড়িভুঁড়ি তাঁর পিঠের মাঝে রেখে দিল। আমি (ইবনু মাসউদ) তা দেখছিলাম। তারা সবাই হাসতে লাগল এবং একে অপরের উপর ঝুঁকে পড়ল।

নবীজি ﷺ তখনও সিজদাহতে ছিলেন, মাথা তুললেন না যতক্ষণ না ফাতিমা (রাঃ) এসে তাঁর পিঠ থেকে নাড়িভুঁড়ি সরিয়ে দিলেন। এরপর তিনি (ফাতিমা) তাদেরকে গালাগাল করতে লাগলেন।

নবীজি ﷺ নামাজ শেষ করে দোয়া করলেন এবং তিনবার বললেন:

 «اللَّهُمَّ عَلَيْكَ بِقُرَيْشٍ»
অর্থ: “হে আল্লাহ! তুমি কুরাইশদের (এই দুষ্টদের) উপর ধ্বংস পাঠাও।”

তারপর তিনি তাদের নাম ধরে বললেন:

“হে আল্লাহ! তুমি আবূ জাহল, উতবা ইবনু রাবিয়া, শাইবা ইবনু রাবিয়া, ওয়ালিদ ইবনু উতবা, উমাইয়া ইবনু খালাফ ও উকবা ইবনু আবি মুআইতের উপর শাস্তি দাও।”

ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেন:

“আমি পরে দেখেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ যাদের নাম নিয়েছিলেন — সবাই বদরের যুদ্ধে নিহত হয়েছিল এবং কূপে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।”
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং 240
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং 1794)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেই ব্যাক্তি তার উপর ময়লা নোংরা পানি ফেলে দিয়েছে,মাজলুম হিসেবে তার বিরুদ্ধে বদ দুয়া করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...