আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
12 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (101 points)
১।অমুসলিম দের ধর্মীয় নাম অনুযায়ী বিভিন্ন শহর বা গ্রাম  এলাকার নাম হয় সেগুলো বললে বা শুনলে ইমানে সমস্যা হবে কি বা গোনাহ হবে কি ?
২।আমাদের এলাকার কিছু যায়গা হিন্দুরা ছেড়ে চলে যায় এখনো পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে তার পরিবারের কেউ আসেনি। কেউ কেউ দখল করতে চায় একজন লোক আছে হিন্দুদের দিয়ে মামলা চালায় এই যে যারা ছেড়ে গেছে তারা নাকি ধর্মের জন্য দান করে গেছে কিন্তু শিওর না ব্যাপারটা দু'পক্ষের মামলা চলে কেউই দখল করতে পারেনি। যেহেতু সেখানে কোনো মালিকানা নাই সেখানে ক্রিকেট খেললে গোনাহ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (689,250 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০২)
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ইসলামে অন্যের সম্পত্তি মালিকের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা জায়েয নয়, এমনকি যদি মালিক অমুসলিমও হয়।

কিন্তু যদি সত্যিই কোনো মালিক নেই, কেউ দাবি করে না, সরকার বা আদালতও নিষিদ্ধ করেনি, তাহলে এটা “মওকূফ” বা অব্যবহৃত জমি ধরা যেতে পারে — তখন সেখানে অস্থায়ীভাবে নির্দোষ কাজ করা (যেমন ক্রিকেট খেলা, বসা ইত্যাদি) গোনাহ নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সেটা নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করছেন না বা ক্ষতি না করছেন।

আপনি বলেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে মামলা চলছে — অর্থাৎ মালিকানা নির্ধারিত হয়নি।
এই অবস্থায় ইসলামি দৃষ্টিতে সতর্কতা জরুরি। কারণ আদালত বা সরকার যখন সিদ্ধান্ত দেয়নি, তখন ওই জমিতে নিয়মিত ব্যবহার (যেমন মাঠ বানিয়ে খেলা, স্থায়ী কাঠামো ইত্যাদি) করা সন্দেহজনক (মাকরূহ বা শুবহা) বলে গণ্য হবে।

সবচেয়ে নিরাপদ ও সঠিক করণীয়ঃ

স্থানীয় প্রশাসন বা ভূমি অফিসে খোঁজ নিন — জমি কার নামে আছে জানতে।
যদি কেউ মামলা করছে, তাহলে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেটা নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার না করাই উত্তম।
তবে যদি এলাকাবাসী সবাই একমত হয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে, কারো ক্ষতি ছাড়া সাময়িকভাবে খেলাধুলা করে, এবং কেউ আপত্তি না তোলে — তখন এটা গোনাহ নয় ইনশাআল্লাহ।

(০১)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...