আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
Assalaamu Alaikum,

JazakAllahu Khairan for your message. We appreciate your input and thoughtful engagement. Ustadh Nouman forms his opinions based on thorough personal research, discussions with scholars from various Islamic disciplines, and careful examination of the evidence.

As Bayyinah’s primary focus is the study of the Quran, a full commentary on this subject may not be available until Ustadh Nouman embarks on a Deeper Look of Surah Luqman, which is not planned for the near future. Covering the surahs leading up to it may take several years.

In the meantime, while most of the comprehensive studies on this topic are in the Arabic language, we’d like to share an article that academically reflects some findings on the subject of music. It is not a complete commentary but may serve as a beneficial resource:

Why Did Imam Bukhari Leave the Hadith of Instruments Hanging?: https://basira.academy/2020/06/03/why-did-imam-bukhari-leave-the-hadith-of-instruments-hanging/

Thank you for your understanding and continued support.

এটা কি সত্য? লিংকের ভিতরের কথাগুলো

1 Answer

0 votes
ago by (687,630 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

مَنْ حَدَّثَ عَنِّيْ حَدِيْثاً كَذِباً مُتَعَمِّداً فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدُهُ مِنَ النَّارِ

যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক আমার নামে ‘মিথ্যা হাদীস’ বলবে তাকে জাহান্নামে বসবাস করতে হবে।
(তাবারানী, আল-মু’জামুল কাবীর ৮/১২২।)


নিজে আল্লাহ বা তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর নামে মিথ্যা বলা যেমন নিষিদ্ধ, তেমনি অন্যের কোনো অনির্ভরযোগ্য, মিথ্যা বা অনুমান নির্ভর বর্ণনা বা বক্তব্য গ্রহণ করাও নিষিদ্ধ। যে কোনো সংবাদ বা বক্তব্য গ্রহণে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا أَنْ تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ

‘‘হে মুমিনগণ, যদি কোনো পাপী তোমাদের কাছে কোনো খবর আনে, তবে তোমরা তা পরীক্ষা করবে যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্থ না কর, এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও।’’
(সূরা (৪৯) হুজুরাত: আয়াত ৬।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইমাম বুখারীর হাদীস গ্রহণের প্রধান শর্তাবলি

ইমাম বুখারীর উদ্দেশ্য ছিল — “সর্বাধিক সহীহ (বিশুদ্ধ) হাদীসসমূহকে একত্র করা।”
এর জন্য তিনি কয়েকটি কঠোর শর্ত নির্ধারণ করেছিলেন, যেগুলো অন্য অনেক মুহাদ্দিসের তুলনায় বেশি কঠিন।

★ সংযোগ (اتصال السند – ইত্তিসালুস সানাদ)

অর্থাৎ, হাদীসের সনদে কোনো ছেদ বা বিচ্ছিন্নতা থাকবে না।

প্রত্যেক রাবী (বর্ণনাকারী) অবশ্যই পরবর্তী রাবীর কাছ থেকে সরাসরি শোনা বা সাক্ষাৎ করা অবস্থায় হাদীস গ্রহণ করেছেন — এর প্রমাণ থাকা চাই।

 অর্থাৎ “رُؤية ولقاء” (দেখা ও সাক্ষাৎ) – কেবল সমসাময়িক হওয়া যথেষ্ট নয়।
ইমাম বুখারী নিশ্চিত করতেন যে, রাবী আসলেই তাঁর শায়খের কাছ থেকে শুনেছেন (سمع منه)।

উদাহরণ, 
যদি কোনো রাবী বলেন “ফুলান আমাকে বলেছেন”, তাহলে ইমাম বুখারী প্রমাণ খুঁজতেন — তারা সত্যিই একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কিনা।

★ রাবীদের ন্যায়পরায়ণতা (العدالة – আল-‘আদালাহ)

প্রত্যেক বর্ণনাকারী হতে হবে:
ধার্মিক (মুত্তাকি),
সত্যবাদী,
বড় গুনাহ থেকে দূরে,
অপবাদ বা সন্দেহজনক আচরণ থেকে মুক্ত।
 এ শর্তে কোনো সন্দেহ থাকলে — ইমাম বুখারী সেই হাদীস গ্রহণ করতেন না।

★রাবীদের স্মৃতি ও নির্ভুলতা (الضبط – আদ-দাব্ৎ)

রাবীদের স্মরণশক্তি ও লেখার নির্ভুলতা পরীক্ষিত হতে হবে।
অর্থাৎ, তারা যে হাদীস বর্ণনা করছেন, সেটি ঠিকভাবে মুখস্থ ও হুবহু সংরক্ষিত আছে — এমন প্রমাণ থাকা চাই।

ইমাম বুখারী এজন্য রাবীদের জীবনী, তাদের ছাত্র ও শায়খদের মন্তব্য, এমনকি তাদের ভুলের তালিকা পর্যন্ত পর্যালোচনা করতেন।

★সনদে ও মতনে কোনো গোপন ত্রুটি না থাকা (عدم العلة – ইললাহ মুক্ত)

হাদীসটি বাহ্যিকভাবে সহীহ মনে হলেও, কখনও কখনও গভীর বিশ্লেষণে গোপন ত্রুটি (عِلّة) পাওয়া যায় — যেমন:

আসল রাবীর পরিবর্তে ভুল রাবীর নাম আসা,

একই হাদীস অন্যভাবে ভুল বর্ণিত হওয়া, ইত্যাদি।

ইমাম বুখারী এসব ইললাহ (গুপ্ত ত্রুটি) খুঁজে বের করতেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে।
এই কারণেই তাঁর হাদীসগুলো বিশেষভাবে “أصح الأحاديث” (সবচেয়ে সহীহ হাদীস) বলে স্বীকৃত।

★ হাদীসটি বিদ্রোহী বা ভিন্নরূপ (شذوذ – শুঝূয) মুক্ত হওয়া

অর্থাৎ, সেই হাদীস অন্য নির্ভরযোগ্য রাবীদের বর্ণনার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ হবে না।
যদি কোনো নির্ভরযোগ্য রাবী এমনভাবে বর্ণনা করেন যা সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অধিক বিশ্বাসযোগ্য রাবীদের বর্ণনার বিপরীত — তাহলে সেই হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়।

★হাদীসের বিষয়বস্তু ও ভাষা শরীয়ত ও যুক্তির পরিপন্থী নয়

ইমাম বুখারী দেখতেন — হাদীসের অর্থ বা মর্ম কুরআনের মূলনীতি, সুপ্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ, বা ইসলামী যুক্তিবোধের পরিপন্থী নয় কিনা।

ইমাম বুখারীর হাদীস গ্রহণের প্রধান শর্তাবলি সংক্ষেপে বলা যায়:

اتصال السندসনদ অবিচ্ছিন্ন হতে হবে
العدالةবর্ণনাকারীরা ন্যায়পরায়ণ ও ধার্মিক হতে হবে
الضبطবর্ণনাকারীর স্মৃতি ও লেখনী নির্ভুল হতে হবে
عدم العلةকোনো গুপ্ত ত্রুটি থাকবে না
عدم الشذوذঅন্য সহীহ বর্ণনার সঙ্গে বিরোধ থাকবে না

★ইমাম মুসলিম (রহ.)-এর “সহীহ মুসলিম” গ্রন্থেও অনুরূপ শর্ত ছিল, কিন্তু ইমাম বুখারী আরও কঠোর ছিলেন — বিশেষত সাক্ষাৎ ও সরাসরি শ্রবণের প্রমাণ বিষয়ে।
এই কারণেই “সহীহ বুখারী”কে বলা হয়:

 "أصح كتاب بعد كتاب الله"
— (আল্লাহর কিতাবের পর সবচেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যে লিংক প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন সেটি পুরোপুরি পড়া সম্ভব হয়নি।

আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে এটি বাংলায় ট্রান্সলেট করে উলুমুল হাদিস আছে এমন মাদ্রাসায় আপনি সময় নিয়ে যাবেন এবং তাদের কাছে আপনার জানতে চাওয়া সবকিছু প্রশ্ন করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...