আগের প্রশ্নের উত্তর ঠিক ভাবে বুঝতে পারিনি। তাই আবার প্রশ্ন করলাম। বুঝিয়ে বলে দিন।

Question

আসসালামু আলাইকুম। একটা বিষয় এ আমি নতুন জানলাম। যে আল্লাহর গুনবাচক নাম কারো রাখা যাবে না৷ আর সেই নামে  নাকি কাউকে ডাকা যাবে না। এখন আমি জানি না কোন কোন নাম ডাকলে সমস্যা হয়। আপনাদের কাছে তাই বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি। কিন্তু মানুষ তো অহরহ ভাবে কত নামেই ডাকতেছে।  যেমন : জব্বার, রাজ্জাক, কাদির, লতিফ, রহীম, রহমান । মানুষ এগুলো নাম রাখে, আর অনেকে ডাকেও।

১) কেউ এসব নামে  মানুষ কে ডাকার কারনে তার ঈমানে সমস্যা হবে?  নাকি এসব নাম নিয়ে মজা করলে?  কারোর নাম যদি এসব হয় তাহলে তো মানুষ কে এই নামে ডাকতেই হবে। যে ডাকতেছে সে তো মানুষ কে ডাকতেছে।  আমাকে বুঝায় দিন দয়া করে।

--এটা ছিল আমার আগের প্রশ্ন।
আমাকে সম্মানিত মুফতি উত্তর দিয়েছেন যে, জেনে শুনে এমন নামে ডাকলে নাকি তার ঈমান চলে যাবে। জেনে শুনে ব্যাপার টা কি হুজুর? আমি তো এখন জেনে গেছি যে এই নামে ডাকা যাবে না। এখন ডেকে ফেললে কি ঈমানে সমস্যা হবে?  বুঝতে পারিনি।
১) আমার এক মামার নাম কাইয়ুম। উনাকে সবাই এই নামেই ডাকে। আবার এক নানার নাম ওয়াহাব। উনাকেও সবাই এই নামেই ডাকে। এখন থেকে কি এই নামে আর ডাকতে পারবো না? ডাকলে কি ঈমানে সমস্যা হবে? যেহেতু এখন জেনে গেছি।

Comments

আসসালামু আলাইকুম। আমি যেই একাউন্ট থেকে এই প্রশ্ন টা করেছিলাম সেটা লগ ইন করতে পারছি না৷ তাই অন্য একাউন্ট থেকে প্রশ্ন করলাম। মাফ করে দিবেন। 

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

১. আল্লাহ তা'আলার ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা(সুন্দর সিফাতি নাম সমূহ) যা আল্লাহ তা'আলার সত্বাগত(জাতি)নাম সমূহের মধ্য থেকে একটি। অথবা যে আসমায়ে হুসনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার সিফাতে মাখছুছ(বিশেষত সিফাত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।সেই আসমায়ে হুসনা সমূহকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।যেমনঃ

اللّٰه، الرحمن، القدوس، الجبار، المتكبر، الخالق، البارئ، المصور، الرزاق، الغفار، القهار، التواب، الوهاب، الخلاق، الفتاح، القيوم ، الرب، المحيط ،المليك، الغفور، الأحد ، الصمد، الحق، القادر، المحي،

উচ্ছারণঃআল্লাহ,রাহমান,কুদ্দুস,জাব্বার,মুতাকাব্বির,খালিক্ব,বারী,মুসাওয়ির,রাজ্জাক,গাফ্ফার,ক্বাহ্হার,তাওয়্যাব,ওয়াহ্হাব,খাল্লাক্ব,ফাত্তাহ,কাইয়্যুম,রাব্ব,মুহিত্ব,মালী...ক,গাফুর,আহাদ,সামাদ,হাক্ব,ক্বাদির,মুহয়ী।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/463

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আল্লাহ তা'আলার ৯৯ টি সিফাতি নাম ব্যতিত আরো অনেক নাম রয়েছে, যা বিভিন্ন হাদীসে পাওয়া যায়। কুরআন হাদীসে যেইসব নাম আল্লাহ তা'আলার সাথে খাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, সেই সব নাম আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।বিষয়টি অনেকটা জটিল। সাধারণ একটি ধারণা পাওয়ার জন্য উপরোক্ত লিংকে বর্ণিত লিখাটি পড়তে পারেন।https://www.ifatwa.info/130171

জেনে শুনে এমন নামে ডাকলে ঈমান চলে যাবে। এখন যেহেতু আপনি জেনে গেছেন, তাই  এই নামে ডাকা যাবে না। এখন ডেকে ফেললে ঈমানে সমস্যা হবে।  

১)  কাইয়ুম বা ওয়াহাব নামে ডাকা যাবে না। ডাকলে  ঈমানে সমস্যা হবে না। 

Comments

আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আপনি বললেন যে এখন যেহেতু জেনে গেছি তাই এই নামে ডাকা যাবে না। ডাকলে ঈমানে সমস্যা হবে। 

আবার বললেন কাইয়ুম নামে ডাকা যাবে না। ডাকলে ঈমানে সমস্যা হবে না। 

আমার বাড়িতে সবাই ডাকে। এখন তাদেরকে জানালেও হয়তো তারা ভুলে এই নামে ডেকে ফেলবে আবারও। সেক্ষেত্রে কি ঈমানে সমস্যা হবে? 

মাফ করে দেন হুজুর। বুঝতে পারিনি।