ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
একদা সা‘দ বিন ওবাদাহ (রাঃ) নবী করীম (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললেন, আপনার নিকট কোন ছাদাক্বা সর্বাধিক পসন্দনীয়? তিনি বললেন, পানি পান করানো’ (আবুদাঊদ হা/১৬৭৯; হাকেম হা/১৫১১)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, পানি পান করানো অপেক্ষা অধিক ছওয়াবপূর্ণ ছাদাক্বা আর নেই’ (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৩৩৭৮; ছহীহ আত-তারগীব হা/৯৬০)।
সা‘দ বিন ওবাদাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! উম্মু সা‘দ মৃত্যুবরণ করেছেন, (তার পক্ষ হ’তে) কোন ছাদাক্বা সর্বোত্তম হবে? তিনি বললেন, পানি পান করানো। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি একটি কূপ খনন করে বললেন, এটা উম্মু সা‘দের (কল্যাণের) জন্য ওয়াকফ করা হ’ল (আবুদাঊদ হা/১৬৮১; মিশকাত হা/১৯১২)।
রাসূল (ছাঃ) আরো বলেন, যে ব্যক্তি পানির কূপ খনন করল, আর সে কূপ থেকে মানুষ, জিন বা কোন পাখি পানি পান করল। এর বিনিময়ে আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিন ছওয়াব প্রদান করবেন (ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১২৯২; ছহীহ আত-তারগীব হা/৯৬৩)।
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আদম সন্তানের দেহে তিনশত ষাটটি হাড় বা জোড় বা গ্রন্থি রয়েছে। এগুলোর প্রতিটির জন্য প্রত্যেক দিন ছাদাক্বা রয়েছে। প্রতিটি উত্তম কথাই ছাদাক্বা। এক ভাইয়ের পক্ষ হ’তে অন্য ভাইকে সাহায্য করা ছাদাক্বা। এক ঢোক পানি পান করানো ছাদাক্বা। পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্ত্ত সরিয়ে দেওয়াও ছাদাক্বা’ (আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৪২২; ছহীহাহ হা/৫৭৬)।
এছাড়া জনৈকা বেশ্যা নারী একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করালে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন (বুখারী হা/৩৪৬৭; মুসলিম হা/২২৪৫; মিশকাত হা/১৯০২)।
(২) পানি পান করানো উত্তম সদাকা। বাসার পানির ফিল্টারে পানি ঢালা বা জগে পানি ঢালার পূর্বে যদি সদাকার নিয়ত করে নেন, তাহলে সদকাহর সওয়াব পাবেন। মুসাফির বা যাদের পানির কোনো ব্যবস্থা নেই তাদেরকে পানি পান করানোই অধিক সওয়াব।
(৩) প্রশ্নের বিবরণমতে ওয়াদা রক্ষা জরুরী হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/663