আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার বিয়ে হয়েছে এক মাস হলো। আমার স্বামী খুব ধর্মপ্রাণ, আর আমি সাধারণ পরিবার থেকে এসেছি। তবে বিয়ের আগেই উনি আমাকে বলেছিলেন যেন আমি হাত-পায়ে মোজা পরা শুরু করি। আসলে তার আগ থেকেই আমি সম্পূর্ণ পর্দা করি এবং ইসলামি নিয়মগুলো মানার চেষ্টা করি।

তার প্রস্তাব আসার আগেই আমি আমার মা-বাবাকে বলেছিলাম, যেন আমার ছবি কারও কাছে না দেয়; যদি ছেলের সঙ্গে কথা এগোয়, তাহলে শুধু ছেলেকেই আমার ছবি দেখানো যায়। কিন্তু মা-বাবা আমাকে না জানিয়ে আমার বায়োডাটায় আমার ছবি দিয়ে দেন, যদিও আমি ছবিতে হিজাব পরা ছিলাম।

এটা আমার স্বামী জানার পর সেদিন আমাকে বললেন—“আমার স্ত্রীকে তো সবাই দেখেছে।” এটা শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছিল, কিন্তু আমি কিছু বলিনি।

আজ হঠাৎ অনলাইনে আমার একদিনের ভগ্নির (ডে-সিস্টার) সঙ্গে কথা বলতে বলতে কিছু কথা হচ্ছিল। তখন আমার স্বামী বললেন, তিনি তাকে চেনেন! আমি শুনে অবাক হয়ে গেলাম। পরে আমি জোর করে জানতে চাইলে উনি অনেক কথা বললেন।

জানলাম, বিয়ের আগে উনি ওই মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে রাতের পর রাত কথা হতো, ছবি আদানপ্রদান হতো, আরও অনেক কিছু ঘটেছিল। এসব কথা শুনে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

আমার মা বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কী হয়েছে, কিন্তু আমি কিছুই বলি না, কারণ আমি মনে করি স্বামীর মানই আমার মান, তার ইজ্জতই আমার ইজ্জত।

কিন্তু এখন আমার মন থেকে তার প্রতি কোনো মায়া নেই, কোনো ভালোবাসা নেই। যাকে আমি ফেরেশতা ভেবেছিলাম, যে সবসময় আল্লাহর নাম মুখে রাখে, সে এমন কাজ করতে পারে—এটা আমি সহ্য করতে পারছি না।

এখন আমার প্রশ্ন হলো—

যদি আমি আমার স্বামীর সব অধিকার ঠিকভাবে পালন করি, তাকে সম্মান করি, ইসলাম যা যা বলেছে সব করি, কিন্তু মনের ভিতর থেকে যদি তাকে ঘৃণা করি—তাহলে কি এটা আমার জন্য গুনাহ হবে?

আমি খুব কষ্টে আছি… সে যখন বলে যে অন্য ছেলেরা আমার মুখ দেখেছে, তখনও কষ্ট হয়—কিন্তু আমি ভাবি, সে কীভাবে অন্য মেয়ের সঙ্গে রাতের পর রাত কথা বলেছে, বিয়ের কথা পর্যন্ত বলেছে, অথচ বিয়েটা তো শেষ পর্যন্ত আমার সঙ্গেই হয়েছে…

1 Answer

0 votes
by (723,270 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমাদের মনে রাখতে হবে, পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আন্তরিকতার সাথে নরম ভাষায় স্বামীকে তাওবাহ করতে বলুন। তার হেদায়তের জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। ধর্য্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ অবশ্যই এর জন্য আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন। আরো জানুন-  https://www.ifatwa.info/295

আপনি যদি আপনার স্বামীর সব অধিকার ঠিকভাবে পালন করেন, তাকে সম্মান করেন, ইসলাম যা যা বলেছে সব করেন, তবে মন থেকে তাকে সম্মান করতে না পারেন,তাহলে এজন্য আপনার গুনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...