আসসালামু আলাইকুম। আমার বিয়ে হয়েছে এক মাস হলো। আমার স্বামী খুব ধর্মপ্রাণ, আর আমি সাধারণ পরিবার থেকে এসেছি। তবে বিয়ের আগেই উনি আমাকে বলেছিলেন যেন আমি হাত-পায়ে মোজা পরা শুরু করি। আসলে তার আগ থেকেই আমি সম্পূর্ণ পর্দা করি এবং ইসলামি নিয়মগুলো মানার চেষ্টা করি।
তার প্রস্তাব আসার আগেই আমি আমার মা-বাবাকে বলেছিলাম, যেন আমার ছবি কারও কাছে না দেয়; যদি ছেলের সঙ্গে কথা এগোয়, তাহলে শুধু ছেলেকেই আমার ছবি দেখানো যায়। কিন্তু মা-বাবা আমাকে না জানিয়ে আমার বায়োডাটায় আমার ছবি দিয়ে দেন, যদিও আমি ছবিতে হিজাব পরা ছিলাম।
এটা আমার স্বামী জানার পর সেদিন আমাকে বললেন—“আমার স্ত্রীকে তো সবাই দেখেছে।” এটা শুনে আমার খুব খারাপ লেগেছিল, কিন্তু আমি কিছু বলিনি।
আজ হঠাৎ অনলাইনে আমার একদিনের ভগ্নির (ডে-সিস্টার) সঙ্গে কথা বলতে বলতে কিছু কথা হচ্ছিল। তখন আমার স্বামী বললেন, তিনি তাকে চেনেন! আমি শুনে অবাক হয়ে গেলাম। পরে আমি জোর করে জানতে চাইলে উনি অনেক কথা বললেন।
জানলাম, বিয়ের আগে উনি ওই মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে রাতের পর রাত কথা হতো, ছবি আদানপ্রদান হতো, আরও অনেক কিছু ঘটেছিল। এসব কথা শুনে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
আমার মা বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কী হয়েছে, কিন্তু আমি কিছুই বলি না, কারণ আমি মনে করি স্বামীর মানই আমার মান, তার ইজ্জতই আমার ইজ্জত।
কিন্তু এখন আমার মন থেকে তার প্রতি কোনো মায়া নেই, কোনো ভালোবাসা নেই। যাকে আমি ফেরেশতা ভেবেছিলাম, যে সবসময় আল্লাহর নাম মুখে রাখে, সে এমন কাজ করতে পারে—এটা আমি সহ্য করতে পারছি না।
এখন আমার প্রশ্ন হলো—
যদি আমি আমার স্বামীর সব অধিকার ঠিকভাবে পালন করি, তাকে সম্মান করি, ইসলাম যা যা বলেছে সব করি, কিন্তু মনের ভিতর থেকে যদি তাকে ঘৃণা করি—তাহলে কি এটা আমার জন্য গুনাহ হবে?
আমি খুব কষ্টে আছি… সে যখন বলে যে অন্য ছেলেরা আমার মুখ দেখেছে, তখনও কষ্ট হয়—কিন্তু আমি ভাবি, সে কীভাবে অন্য মেয়ের সঙ্গে রাতের পর রাত কথা বলেছে, বিয়ের কথা পর্যন্ত বলেছে, অথচ বিয়েটা তো শেষ পর্যন্ত আমার সঙ্গেই হয়েছে…