আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ উস্তায।


আমার পরিচিত একজন ওয়েবসাইট ফ্রিল্যান্সার। তিনি ঘরে বসেই নিজের কম্পিটারের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের অর্থাৎ ক্লায়েন্টের বিভিন্ন প্রয়োজনে (যেমন তাদের ব্যবসা, সাইন্টিফিক রিসার্চ, অনলাইনে সেবা দান) ওয়েব সাইট তৈরি করে থাকেন। এই কাজ করার সময় অনেক বিদেশী সেবা গ্রহীতা তাদের ওয়েবসাইটের পোর্টফোলিও তে মাঝে মধ্যে মহিলাদের ছবি দিয়ে থাকে। বিভিন্ন লেখা বা আর্টিকেল এর সাথে ছবিগুলো সংযুক্ত করতে চায়। এই ক্লায়েন্ট বিভিন্ন লেখা বা তথ্য যা তারা তাদের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করাতে চান, তা তারা ওয়েবসাইট তৈরী কারক বা ফ্রিল্যান্সারকে সরবরাহ করেন। তার সাথে তারা যে ছবি তাদের ওয়েবসাইটে দেখাতে চান, তাও সরবরাহ করেন।


এখানে উল্লেখ্য যে, আমার পরিচিত কোন ছবি বা কার্টুন তৈরি করেন না। তিনি শুধু ওয়েবসাইট তৈরি করে দেন ।
অনেক সময় অনেক মহিলা ক্রেতা বা ক্লায়েন্ট ভিডিও কলের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে তার রিকোয়ারমেন্ট বুঝিয়ে দেন যে তারা তাদের ওয়েবসাইট কিভাবে সাজাতে চায়।


বিদেশে অধিকাংশই বিধর্মী ক্লায়েন্ট। সবাই পর্দা করে না। সে ক্ষেত্রে আমার পরিচিত ব্যক্তি কি ওই কাজগুলো করতে পারবেন নাকি শরীয়ত নিষেধ করে?


তিনি নিজে নিজে এই চিন্তা করছেন যে, তিনি যদি কোন দোকান দেন, তাহলে তো সেখানে অনেক মহিলা কাস্টমার আসবেন। তারপরে অনেক পণ্যে বিশেষকরে কাপড় বা অনেক খাদ্যদ্রব্য এর প্যাকেট, বিজ্ঞাপনে এমনকি ডিটারজেন্ট এর প্যাকেটের মহিলাদের ছবি থাকে । সেক্ষেত্রে দোকানদার চেষ্টা করলেও এ থেকে রেহাই পান না। যদিও ওই দোকানদার জানেন এবং বিশ্বাস করেন যে এগুলো খারাপ।


এখন কি আমার পরিচিত ব্যক্তি ওই কাজগুলো করতে পারবেন? কেউ যদি তার থেকে কাজ করিয়ে নিতে চান, তিনি কি তাদের ফিরিয়ে দেবেন অথবা ফিরিয়ে দিলেও কিভাবে ফিরিয়ে দেবেন?

1 Answer

0 votes
by (731,280 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(খ) যদি বিক্রেতার জানা থাকে যে,
ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে মদ তৈরী করবে বা অন্য কোনো অবৈধ কাজে ব্যবহার করবে। অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে। এসব বিক্রেতা বা ইজারাদারের জানা থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ হিসেবে বিবেচিত হবে।

অতঃপর এই মাকরুহ আবার দুইভাবে বিভক্ত, যথা-
(১) গোনাহ উক্ত জিনিষের মূলের সাথে সংযুক্ত হবে, কোনো প্রকার পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের প্রয়োজনিয়তা পড়বে না। তাহলে এমন জিনিষ বিক্রয় করা বা ভাড়া দেওয়া মাকরুহে তাহরীমি হবে।
(২) অথবা সামান্য কিছু সংযোজন ও সংবর্ধনের পরই তাকে গোনাহের কাজে ব্যবহার করা হবে, তাহলে এমতাবস্থায় সেটা মাকরুহে তানযিহি হিসেবে বিবেচিত হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1046

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পরিচিত ঐ ব্যক্তি বিধর্মীদেরকেও ওয়েবসাইট বানিয়ে দিতে পারবে।যেহেতু ছবি পরবর্তীতে সংযোজন হবে, তাই তার ইনকাম হারাম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...