আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্,
পুরুষেরা  বাসায় কিধরনের পোশাক পরিধান করবে?
তারা কি খালি গায়ে থাকতে পারবে?
বাসায় মা,বোন এদের সামনের পুরুষদের পোশাক কেমন হবে?
বাড়িতে ননমাহরম বেড়াতে আসলে তাদের সামনেই বা এর বিধান কি?

1 Answer

0 votes
by (688,380 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

পুরুষের সতর হল নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। 
সুতরাং এতটুকু অংশ ঢাকা পুরুষ এর উপর ফরজ।
পুরো শরীর ঢাকা পুরুষের জন্য ফরজ নয়। 

হযরত আমর ইবনে শুআইব রাহ. তার পিতা থেকে, তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোনো পুরুষ অপর পুরুষের সতরের দিকে তাকাবে না। পুরুষের সতর হল নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত। (সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস : ৩২৩৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪৯৭; সুনানে দারা কুতনী ১/৩২০ 

বিশুদ্ধ মতে কোন পুরুষের জন্য অন্য কোন পুরুষের সতর তার নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং কোন মহিলার জন্য অন্য কোন মহিলার সতর হাত, পা, ঘাড় ও মাথা ছাড়া তার বাকি অংশটুকু তথা গলা বা ঘাড় থেকে হাঁটু পর্যন্ত। অনুরূপভাবে কোন পুরুষের জন্য অন্য কোন বেগানা মহিলার পুরো শরীরটিই সতর। তবে কোন পুরুষের জন্য তার কোন মাহরাম (যাকে চিরতরে বিবাহ্ করা তার জন্য হারাম) মহিলার সতর ততটুকুই যতটুকু কোন মহিলার জন্য অন্য কোন মহিলার সতর।

আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

لَا يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ، وَلَا الـْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ، وَلَا يُفْضِيْ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِيْ ثَوْبٍ وَاحِدٍ، وَلَا تُفْضِيْ الـْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِيْ الثَّوْبِ الْوَاحِدِ.

‘‘কোন পুরুষ অন্য কোন পুরুষের সতরের দিকে একেবারেই তাকাবে না এবং কোন মহিলা অন্য কোন মহিলার সতরের দিকে একেবারেই তাকাবে না। তেমনিভাবে কোন পুরুষ অন্য কোন পুরুষের সাথে একই কাপড়ের নিচে অবস্থান করবে না এবং কোন মহিলা অন্য কোন মহিলার সাথে একই কাপড়ের নিচে অবস্থান করবে না’’। (মুসলিম ৩৩৮)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «احْفَظْ عَوْرَتَكَ إِلَّا مِنْ زَوْجَتِكَ أَوْ مَا مَلَكَتْ يَمِيْنُكَ» فَقُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ! أَفَرَأَيْتَ إِن كَانَ الرَّجُلُ خَالِيًا؟ قَالَ : «فَاللّٰهُ أَحَقُّ أَنْ يُسْتَحْيٰى مِنْهُ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَابْنُ مَاجَهْ

বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ) তাঁর পিতা ও দাদা (মু‘আবিয়াহ্) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্বীয় স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া সকল মানুষ হতে তোমার লজ্জাস্থানের হিফাযাত করবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! যদি কেউ (নির্জনে) একাকী থাকে? উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তখন আল্লাহকেই লজ্জা পাওয়া অধিকতর কর্তব্য।
আবূ দাঊদ ৪০১৭, তিরমিযী ২৭৯৪, ইবনু মাজাহ ১৯২০, আহমাদ ২০০৩৪, ইরওয়া ১৮১০, সহীহ আল জামি‘ ২০৩,মিশকাত ৩১১৭)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পুরুষের সতর হল নাভি থেকে নিয়ে হাটু পর্যন্ত। অর্থাৎ এতটুকু স্থান অন্য ব্যক্তিদের সামনে ঢেকে রাখা ফরজ। বাকি মানুষের সামনে যাওয়ার সময় স্থান,কাল,পাত্র ভেদে ও সমাজ হিসেবে যা শালীন, ও তাকওয়া প্রকাশক করে এমন পোশাক পরিধান করা উত্তম।

পুরুষরা বাসায় ঢিলেঢালা, শালীন পোশাক পরিধান করবে।

★ কোনো পুরুষ যদি এমন পরিবেশে থাকেন, যেখানে খালি গায়ে থাকাকে দৃষ্টি কটু বলা মনে করা হয়,তাহলে সেই পরিবেশে মাহরাম মহিলা বা পুরুষদের সামনে এভাবে খালি গায়ে থাকা অনুত্তম হবে। 

আর যদি দৃষ্টি কটু মনে না করা হয়,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।

তবে কোনো গায়রে মাহরাম নারী এ ভাবে দেখার শংকা থাকলে এটি সর্বাবস্থায় অনুত্তম হবে।     

এক্ষেত্রে কাহারো আকৃষ্ট হওয়ার শংকা থাকলে এটি নাজায়েজ হবে।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...