আসসালামু আলাইকুম৷ প্রশ্নটি একটু ভালো করে পড়ে উত্তর দিলে ভালো হয়। অনেক অশান্তিতে আছি।
আমার চুল একটা শ্যাম্পু অনেকদিন দিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন প্রোডাক্ট খুঁজছিলাম, সাথে ফেসওয়াশও লাগত৷ তো অনেকগুলো প্রোডাক্টের মাঝে কোনটা নেব একদমই বুঝতে না পেরে অনেকবার ইস্তিগফার করি আর দুয়া করতে থাকি, যে আমাকে যাতে আল্লাহ ভালোকিছু প্রোডাক্ট মিলিয়ে দেন। তখন হঠাৎ মনের মধ্যে দুটা প্রোডাক্টের নাম চলে আসে, যে এদুটা নিলে সবচেয়ে ভালো হবে। আমার সাথে এমন আগে হয়নি, তাই সন্দেহে পড়ে যাই। এরপরে ওই দুটো প্রোডাক্টের মাঝে একটা নেই। আরেকটার বদলে অন্য প্রোডাক্ট নেই৷ পরে যেটা বদলে নিয়েছিলাম সেটা একদমই স্যুট করেনা। যেটা ইস্তেখারা থেকে পেয়ে নিয়োছিলাম সে শ্যাম্পুটা মোটামুটি স্যুট করে, মা বলে চুল আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে গেছে। কিন্তু চুল পড়া শুরু করে, আগে এত পড়তনা। তখন আমি ভাবি যে আসলেই আল্লাহ আমাকে নামগুলো দিয়েছেন। এরপরে আরেকদিন মায়ের সাথে কথা কাটাকাটি হয়, মা বলে যে আমার বিয়ের জন্য যে বায়োডাটাগুলো দিয়োছি সেগুলো এডিট করতে৷ কারণ কোনো পাত্র যোগাযোগ করছেনা। তখন কষ্ট পেয়ে আবার ইস্তিগফার আর দরুদ পড়তে পড়তে বিয়ে নিয়ে দুয়া করছিলাম, আল্লাহকে জিজ্ঞেস করছিলাম যে এখনো কোনো পাত্র আসছেনা, আদৌ কি আমার জন্য কেউ আছে? অনেক খারাপ লাগছিল, তখন হঠাৎ আগের মত একটা কন্ঠ বলে- "আছে"। তখন আমি সাথেসাথে আবার জিজ্ঞেস করি তাহলে কি বায়োডাটা যাদের দিয়েছি সেগুলো এডিট করব? তখন সাথেসাথে উত্তর আসে-
" অর্ধেকদীনে দিতে হবে"। এটা আমি ঘুনাক্ষরেও চিন্তা করিনি৷ এই ওয়েবসাইটে বায়ো দেয়ার কথা ভাবিওনি। এরপরেও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইস্তেখারা করি, আল্লাহকে বারবার বলি যে দুয়ার উত্তর যদি ভুলও হয় তাও মেনে নেব। কিন্তু তখনও বারবার একই কথা মাথায় আসতে থাকে, যে অর্ধেকদীনেই দিতে হবে৷ একবারও অন্যকিছু আসেনি।
তাই আমি সেখানে দেয়ার জন্য বায়ো জমা দেই। কিন্তু প্রশ্ন হল-
১. এই দুয়ার রেজাল্ট কি আসলেই ঠিক? আমার চুলপড়া একদমই বন্ধ হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে সব চুল শেষ হয়ে যাবে। তাহলে এটা কীভাবে ঠিক প্রোডাক্ট হল? আর এটা যদি ভুল হয় তাহলে তো পরের দুয়ার ফলাফলটাও ঠিক না। তাহলে কি ইস্তিখারাটাও ভুল? এপর্যন্ত কখনোই আমার ইস্তেখারা থেকে পাওয়া সিদ্ধান্ত থেকে আফসোস হয়নি, সব ঠিক এসেছে। কিন্তু গত কিছুদিন আগে আমি একজনের সাথে শেয়ার করি যে কীভাবে আমার ইস্তেখারার রেজাল্ট সবসময় দ্রুত আসে। সে বলছিল যে তার নাকী কিছুই আসেনা। এমন কি হতে পারে যে আমার নজর লেগে ইস্তেখারার নিয়ামত চলে গেছে? তাহলে কি অর্ধেকদীনে বায়োডাটা দিয়েও আরো জায়গায়ও পাত্র খুঁজতে থাকব?
২. ইস্তেখারা করে যদি একটা বিয়ে হয়, তাহলে সেটা তালাক হওয়ার কারণ কী?
ইস্তেখারার রেজাল্টের ভূমিকা এখানে কী? এটা কি শুধু তুলনামূলক একজন আমার জন্য ভালো, এটাই বোঝায়? নাকী ইস্তেখারার পরেও ভাগ্য আমার হাতেই নির্ভর করে? অর্থাৎ ঠিকঠাক দুয়া বা চেষ্টা না করলে তালাক হয়ে যেতে পারে? অথবা এই বিয়ের উদ্দেশ্য শুধু চরিত্রগঠন ছিল?
৩. অনেক প্রশ্ন আপনাদের কাছে আসে যে- মেয়ের ইস্তেখারা পজিটিভ আসলেও ছেলে রিজেক্ট করেছে। তখন উত্তর দেন যে এই ছেলের সাথে বিয়ে হলে ভালো হত তাই পজিটিভ এসেছে। কিন্তু তাকদীরে নেই৷
আল্লাহ তো তাকদীর জানেন, ছেলে যে না করবে সেটাও জানেন। তাহলে আল্লাহর তো ওই অনুযায়ীই মেয়েকেও নেগেটিভ রেজাল্ট দেয়ার কথা না!
তাহলে ইস্তেখারা করার কোনো দামই রইলনা!
নাকী মেয়ে যথেষ্ট সিনসিয়ার ছিলনা?