বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোসলের মুস্তাহার পদ্ধতি হল,
প্রথমে দুনু হাত এবং লজ্জাস্থান ধৌতকরণ পূর্বক ওজু করা হবে। এই সময় নাকে-মুখে পানি দেয়া হবে। অতঃপর সমস্ত শরীরে পানি ঢালা হবে।
উত্তম হল প্রথমে ডানকাদে তারপর বামকাদে তারপর মাথায় তিনবার করে পানি দিয়ে ধোত করবে।এবং শরীর মলে ধৌত করবে।
সর্বশেষ পা ধৌত করবে।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৪৮)
জানাবত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য শুধুমাত্র গোসলের ফরয গুলা ভাল করে আদায় করে নিলেই কেউ পবিত্র হয়ে যাবে।
গোসলের ফরয তিনটি
(১)কুলি করা(২)নাকের নরম জায়গায় পানি পৌছানো(৩)সমস্ত শরীর ভালভাবে ধৌত করা।
বাথরুমে একাকি উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয হলও না করা অবশ্যই উত্তম হবে। েকননা ফিরিস্তা সর্বদা আমাদেরকে দেখেন,এবং বিশেষ করে খারাপ জ্বীনরা উলঙ্গ গোসলকারীর আশিক হয়ে যেতে পারে। জ্বীনরা সাধারণত ঘরের বাথরুমে তাদের আসর বানিয়ে থাকে। সুতরাং বাথরুমে উলঙ্গ হয়ে গোসল না করাই উত্তম।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনি মুরুব্বদের নিকট থেকে যা শুনেছেন যে,
"সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে গোসল করা উচিত না" আপনি সঠিকটা-ই শুনেছেন।
(২)
উলঙ্গ হয়ে গোসল উচিৎ নয় ঠিক, তবে যদি কেউ একাকি বাথরুমে গোসল করে নেয়,তাহলে তার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।