ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
প্রস্রাব করার পর টিস্যু দিয়ে কুলুখ ব্যবহার করার পর গোপনাঙ্গের ভিতর যদি কেউ প্রস্রাব দেখতে পায়, তাহলে তার জন্য গোপনাঙ্গকে ধৌত করা ওয়াজিব। রোযা থাকাবস্থায় হোক বা না হোক। রোযা থাকাবস্থায় গোপনাঙ্গকে ধৌত করা যাবে। স্বাভাবিক অবস্থায় যতটুকু পানি গোপনাঙ্গে পানি যায় ততটুকু পানি দিয়ে ধৌত করা যাবে। তবে আঙ্গুল ইত্যাদি দ্বারা গোপনাঙ্গের ভিতর পানি পৌছানো যাবে না। এতে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।
(২)
যদি যদি প্রস্রাব বের হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয় কিন্তু প্রস্রাব বেরিয়েছে কি না ? সে সম্পর্কে সে নিশ্চিত না থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় ওযু করে সে নামায নামায আদায় করতে পারবে।
(৩)
জামাআতে নামাযের মধ্যে যদি ভিতরে ভিতরে(মুখ নড়িয়ে নয়) কেউ বলে যে, আমার আল্লাহ অনেক মহান এবং এই জন্য যদি কণ্ঠের শব্দ হয় যেটি নিজে ছাড়া অন্য কেউ শুনতে না পায়, তাহলে নামায ফাসিদ হবে না। হ্যা এ সম্পর্কে মতবেদ রয়েছে। হানাফি ফিকহেও মতবেদ রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/185
(৪)
জামাআতে নামাযে যদি কেউ নাকের শব্দ করে এবং সেটি যদি নিজে ছাড়া আশেপাশের কেউ শুনতে না পায়, তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না। বিনা প্রয়োজনে এমনটা করা মাকরুহ।