আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম, উস্তায।
প্রায় এক মাস যাবৎ আমার বিয়ে হয়েছে। আমার আহলিয়ার কাছ থেকে আমি জানতে পারি যে আমার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি-এর সম্পূর্ণ ইনকাম হারাম। তাই তাদের থেকে দাওয়াত বা হাদিয়া গ্রহণ থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। তবে আমার শ্বশুরবাড়ির দূরত্ব আমার বাড়ি থেকে খুব কম এবং স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য তাদের পক্ষ থেকে দাওয়াত বা হাদিয়া আমাদের গ্রহণ করতে হচ্ছে। আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করছি দাওয়াত বা হাদিয়া গ্রহণ না করার, তবুও কিছু সময় সফল হলেও বেশ কয়েকবার আমাদের ব্যর্থ হতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা দাওয়াত বা হাদিয়া গ্রহণ করার পর সেটার সমপরিমাণ (আনুমানিক) অর্থ সদকাহ করে দিচ্ছি। তবে মনে বারবার সংশয় থেকেই যাচ্ছে যে হারাম খাদ্য আমাদের ভক্ষণ করতেই হচ্ছে।
উস্তাজের নিকট আমার প্রশ্ন হলো, এমতাবস্থায় আমাদের জন্য কি করা উচিত? আমরা যে রুকসত গ্রহণ করেছি সেটা কি ঠিক আছে? আর ঠিক থাকলেও এভাবে বারবার সদকাহ করা আমার একার পক্ষে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে যেহেতু আমার নিজস্ব আয় খুবই অল্প, আমি এখনো পড়াশুনা করছি। আর বিষয়টি সম্পর্কে আমার মা এবং শ্বশুর শ্বাশুড়ি যাতে না জানতে পারে সেটার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

1 Answer

0 votes
by (724,770 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করবেন(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪) 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/53560

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যথাসম্ভব শশুড় বাড়ি থেকে কিছু না খাওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। শতচেষ্টার পরও যদি যেতে বাধ্য হন, তাহলে যা খাবেন, সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
উস্তায, এক্ষেত্রে আমি কি সমপরিমাণ টাকা তাদেরকে হাদিয়া দিতে পারি? অথবা তাদেরকে আমাদের বাসায় সমপরিমাণ টাকার খাবার দ্বারা আপ্যায়নের মাধ্যমে কি বিষয়টা সমাধান হতে পারে? এই ছাড় গ্রহণ করতে পারবো কিনা জানাবেন ইনশাআল্লাহ্ কষ্ট করে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...