আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি একজন অবিবাহিতা মেয়ে। ছোটবেলায় হঠাৎ অন্য মানুষের ল্যাপটপ অশ্লীল কিছু জিনিস দেখে ফেলি এবং মাথায় সেট হয়ে যায়, এর আগে একজন হিন্দু ছেলের মাধ্যমে শারিরীক নিপিড়ন এ পরি(টিভি দেখতে গিয়েছিলাম তখন পা দিয়ে আমার লজ্জাস্থান বারবার স্পর্শ করতেছিলো তখন ভয়ে আমি দৌড়ে চলে আসি তখন আমি খুব ছোট হয়তো ক্লাস৩/৪ এ পরি বা থেকেও ছোট)। তো সেই অশ্লীল দৃশ্বের কার্যকলাপ গুলো আমার শিশুমনে এমন ভাবে আঘাত  করে যেন আমি বের হতে পড়ি নি আজো। আমার দৃশ্যপটে  বারবার সেই অশ্লীল (১৮+) জিনিস গুলো ভেসে আসে যা দেখা অনুচিত কোনো ছোট বাচ্চার বা অবিবাহিতদের। আরেকটা ঘটনা সেই অশ্লীল দৃশ্যে আমি নিজেকে কল্পনা করতে শুরু করতাম সেই ছোট বয়সেই, এর সুযোগ এক মেয়ে আমার সাথে উত্তেজনার কাজ করে(আমার স্তনে হাত, মুখে চুম্বন, লজ্জাস্থানে হাত দিয়ে ঘর্ষণ করা) আমি তখন ছোট হয় ক্লাস ৫ এ পরি হবে।তখন আমি অই খারাপ জিনিস দেখার ফলে উত্তেজনা অনুভব করতাম এই কাজে ।তখন তো বুঝতে পারতাম না এটা হারাম এটা। এই ঘটনা কয়েকবার ঘটেছে। আর সেই উত্তেজনা আমার কিভহুদিন বাদে বাদে বার বার আসতো।বড় হওয়ার পরেও আসতো এখনো আসে।বড় হওয়ার পরে আমি নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারি না। যা ফলাফলে আমি ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখে ফেলি নিজেকে আটকাতে পারি না।অনেকবার ওয়াদা করেছি, দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে। দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি আমাকে অবিবাহিত অবস্থায় এই উত্তেজনা যেন আর না আসে।কিন্তু তাও আসে আমি নিজেকে আটকে রাখতে পারি না।
যখন ক্লাস ৬/৭ এ পড়ি এবং আমার সাথে পিছনে উপরে উল্লেখিত ঘটনা ঘটেছিলো  তখন, আমি যখন উত্তেজনা অনুভব করতাম তখন নিজের লিঙ্গ নিজে হাত,আঙ্গুল  দিয়ে ঘর্ষণ করতাম, স্তন হাত দিয়ে ঘর্ষণ করতাম, দু পা উপরে দিয়ে ডানে বামে নাড়িয়ে আমি উত্তেজনা নিবারন করতাম আমার লজ্জাস্থান থেকে তখন পিচ্ছিল রস বের হয়ে আসতো আর উত্তেজনা ক।এ আসতো।  তখন আমার এসব গুনাহের কাজ ধারণা ছিলো না আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারতাম না।এরসাথে যখন বড় হলাম দ্বীনের বুঝ ছিলো না তখন উত্তেজনার সময় অইকাজগুলোর সাথে সাথে আমি পর্ন বা অশ্লীল ভিডিও দেখতাম। (আল্লহুমমাগফিরলি)


যখন হেদায়েত এর পথে আসি তখন থেকে দোয়া করি নিজেকে আটকে রাখতে চেষ্টা করি কিন্তু কয়েকবার সফল হলেও আবার অই উত্তেজনা এবং খারাপ দ ৃশ্য মনে পরে যাওয়ায় আমি নিজেকে আটকাতে ব্যর্থ হই ফলাফল উপরের অই কাজ গুলো আবার করে ফেলি, অনেকবার ওয়াদা করেছি রবের সাথে পর্ন দেখবো না, বেশ কিছু বার উত্তেজনাকে কন্ট্রোল করতে পেরেছি পর্ন দেখি নি কিন্তু বর্থ অ হয়েছি অনেক বার। আগের থেকে এখন উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার সময়ের মাঝে অনেক সময় ব্যবধান হয়েছে কিন্তু তাও আসে তখন আর কন্ট্রোল রাখতে পারি না তখন (দু পা ডানে বামে নাড়িয়ে, স্তন পেট স্পর্শ করে) তখন ও লিঙ্গ থেকে পিচ্ছিল রস বের হয়, এভাবে উত্তেজনা  নিবারন করি লজ্জাস্থানে হাত দেই না। এটা থেকে নিজেকে আটকে পারি না গুনাহ হয় যেনেও।মাঝে মাঝে উত্তেজনার সময় খারাপ ভিডিও দেখি না কিন্তু উপরে বলা কাজ গুলো করা ছাড়া উত্তেজিত অবস্থা থেকে বের হওয়া যায় না তাই করি।আবার মাঝে মাঝে অই কাজ করার সাথে অশ্লীল ভিডিও দেখা থেকে নিজেকে আটকে রাখতে পারি না।।।
আমি খুব করে দোয়া করি এর থেকে বের হওয়ার জন্য। ক্ষমা চাই

নিজে খুব করে চাই অবিবাহিত অবস্থায় যেন আর এই উত্তেজনা না আসুক।

১. অবুঝ অবস্থায় উপরে বর্নিত যে  কাজগুলো করেছি বা দেখে ফেলেছিলাম বা আমার সাথে অন্য কেউ করেছিলো এর জন্য আমার পরিনাম কি হবে?

২.দ্বিনের বুঝ আসার আগে যে উত্তেজনা বসত কাজ গুলো করতাম তার জন্য আমার পরিনতি কি হবে?


৩.দ্বীনের বুঝ আসার পরেও নিজের এসব করা বা দেখার কোনো ইচ্ছা না থাকার পরেও উত্তেজনার বসে এসব করা এবং হেরে গিয়ে দেখার ফলে আমার পরিনতি কি?  আমি কি কখনো ক্ষমা পাবো??


৪.আমার ওয়াদা ভঙ্গের জন্য কাফফারা দিতে হবে কি?

৫.আমি এসব থেকে বের হবো কিভাবে?

৬.আমার সাথে ঘটা জিনিসগুলো স্মস্মৃতি থেকে বের করবো কিভাবে।

৭.আমার কি গোসল ফরজ হয়ে যায়? আমি জানি না কিন্তু তারপর ও আমি এসব আমার সাথে হলে আমি ফজর গোসল করে নেই।


৮.আমাকে কি রব ক্ষমা করবেন?


৯.আমাকে দয়া করে সাহায্য করুন


জাযাকাল্লাহ।।

1 Answer

0 votes
by (724,770 points)
জিনিস দেখার ফলে উত্তেজনা অনুভব করতাম এই কাজে ।তখন তো বুঝতে পারতাম না এটা হারাম এটা। এই ঘটনা কয়েকবার ঘটেছে। আর সেই উত্তেজনা আমার কিভহুদিন বাদে বাদে বার বার আসতো।বড় হওয়ার পরেও আসতো এখনো আসে।বড় হওয়ার পরে আমি নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারি না। যা ফলাফলে আমি ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখে ফেলি নিজেকে আটকাতে পারি না।অনেকবার ওয়াদা করেছি, দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে। দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি আমাকে অবিবাহিত অবস্থায় এই উত্তেজনা যেন আর না আসে।কিন্তু তাও আসে আমি নিজেকে আটকে রাখতে পারি না।




ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
তাওবাহর দ্বারা আল্লাহ পাক সকল প্রকার গোনাহকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা যুমার-৫৩) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1048


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার সম্পূর্ণ লিখাটি পড়েছি। আপনার জন্য সমাধান হল  আপনি খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবেন।আল্লাহ অবশ্যই আপনাকে ক্ষমা করবেন। তাহাজ্জুদ নামায পড়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন যাতে দ্বীনদার কাউকে আপনার জীবন সঙ্গী হিসেবে আল্লাহ বানিয়ে দেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...