ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন,
ولو أقر بالطلاق كاذبا أو هازلا وقع قضاء لا ديانة.(رد المحتار:3/236)
যদি কেউ রংতামাশা করে বা মিথ্যা ভাবে তালাকের স্বীকারোক্তি দেয়, তাহলে এদ্বারা দিয়ানাতান তালাক পতিত হবে না। হ্যা, কাযাআন তালাক পতিত হবে।
إذا أقر بالطلاق كاذبا وقع قضاء لاديانة (البحر الرائق شرح كنز الدقائق:3/272)
যদি কেউ রংতামাশা করে বা মিথ্যা ভাবে তালাকের স্বীকারোক্তি দেয়, তাহলে এদ্বারা দিয়ানাতান তালাক পতিত হবে না। হ্যা, কাযাআন তালাক পতিত হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 
https://www.ifatwa.info/531
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ভাইকে আপনার স্বামী বলেছেন যে, 'আমি তাকে তালাক দিয়েছি এক বছর আগে' এখানে যদি সে সত্যবাদি হয়, তাহলে তো তালাক পতিত হয়ে যাবে। যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে ফিকহের উসূল বা মূলনীতি অনুসারে দিয়ানাতান তালাক পতিত হবে না। কিন্তু কাযাআন তথা কোর্টের দ্বারা তালাক পতিত হয়ে যাবে। অর্থাৎ স্ত্রী কোর্টে বিষয়টিকে উত্তাপন করলে কাজী বা বিচারক বাহ্যিক দিক লক্ষ্য করে তালাকের ফয়সালা দিয়ে দিবেন। 
বিঃদ্রঃ
কাজী সাহেবের দরবারে বিষয়টি তখনই যাবে যখন স্বামী তালাকের বিষয়টিকে অস্বীকার করবে বা মিথ্যা বলবে এবং স্ত্রী এটাই মনে করবে যে স্বামী সত্যিই তালাক দিয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আবার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করুন। তাকে জিজ্ঞাসা করুন, সে কি সত্যিই তালাক দিয়েছে। যদি সে মিথ্যা স্বীকারোক্তির কথা বলে তাহলে তাকে সত্যি সত্যি তালাক দেওয়ার কথা বলুন। যদি সে মিথ্যা স্বীকারোক্তি বলে এবং সত্যি সত্যি তালাক দিতে অস্বীকার করে, তাহলে কোর্টের দ্বারস্থ হোন।আল্লাহ আপনাদের বিষয়টির সমাধান করুক। যেহেতু এটাই আপনাদের সমস্যার সমাধান। তাই আপনার অন্যান্য কল্পনামূলক প্রশ্নের জবাবা দিচ্ছি না।জাযাকুমুল্লাহ।