আসসালামু আলাইকুম।
আমি কিছু বিষয়ে খুবই দ্বিধা ও উদ্বেগে আছি, দয়া করে আমাকে বিস্তারিতভাবে সাহায্য করুন।
স্বপ্নদোষ হলে বা গোসল ফরজ হলে আমি সাধারণত প্রথমে লজ্জাস্থান সাবান ছাড়া ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলি। এরপর যেখানে যেখানে বীর্য লেগে থাকে, সেই জায়গাগুলো হাত দিয়ে পানি দিয়ে ঘষে ধুয়ে দিই। তারপর হাতও ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নেই। এই পুরো প্রক্রিয়াটি আমি তিনবার করি। এরপর ফরজ গোসলের নিয়ম অনুযায়ী গোসল সম্পন্ন করি।
আমার প্রশ্নগুলো হলো—
এইভাবে করলে কি আমার ফরজ গোসল সম্পূর্ণ হয়?
নাকি লজ্জাস্থান ও যেখানে বীর্য লেগেছে সেখানে অবশ্যই সাবান ব্যবহার করা জরুরি?
ফরজ গোসলের সঠিক পদ্ধতি কীভাবে করলে নিশ্চিতভাবে গোসল আদায় হবে?
আরেকটি বিষয়—
কখনো কখনো আমার সন্দেহ হয় যে দরজার হ্যান্ডেল বা ঘরের কিছু জায়গায় হয়তো নাপাকি (যেমন বীর্য) লেগে আছে। কিন্তু তা শুকনো অবস্থায় থাকে। যদি আমি শুকনো হাতে সেসব জায়গায় স্পর্শ করি, তাহলে কি আমার হাত নাপাক হয়ে যায়?
আর যদি হাত ধুয়ে শুকিয়ে নিয়ে পরে সেই জায়গায় হাত দিই, তবুও কি হাত নাপাক হয়ে যাবে?
এছাড়াও, আমার আরেকটি প্রশ্ন হলো—
লজ্জাস্থান বা পায়খানার রাস্তা কি নিজে থেকেই নাপাক হিসেবে গণ্য হয়?
যদি আমি শুকনো হাতে লজ্জাস্থান বা পায়খানার রাস্তা স্পর্শ করি (যেখানে কোনো নাপাকি নেই), তাহলে কি আমার হাত নাপাক হয়ে যাবে?
আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি। দয়া করে আমাকে বিস্তারিতভাবে সঠিক ইসলামিক ব্যাখ্যা ও সমাধান দিন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।