আসসালামু আলাইকুম।
আমাদের পারিবারিক বিভিন্ন জটিলতার কারণে এক মাদ্রাসার অভিজ্ঞ হুজুর এর কাছে পরামর্শ এবং চিকিৎসা/রুকাইয়া নেওয়ার চেষ্টা করি আমরা। বিষয় গুলো ছিলো এইরকম।
১. আমার বোনের বিয়ে হচ্ছিল না অনেক বছর ধরে। তো তাকে কেউ কোনো সমস্যা করলো কিনা, জ্বীনের আছর বা কুফরি করলো কিনা এসব বিষয় জানার জন্য আমরা হুজুর কে বলি দেখতে। সেই হুজুর আমার বোনের নাম, বাবা মায়ের নাম নিয়ে দেখে তারপর জানায় যে জ্বীনের নজর আছে। এরপর আমার বোনের বিয়ের জন্য যেই ছেলে দেখা হচ্ছিল সেই ছেলে টা আসলে কেমন, এটা জানার জন্য ওই হুজুর কে উক্ত ছেলের নাম, বাবা মায়ের নাম ছবিসহ তথ্য দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী তে হুজুর জানালো যে ছেলের অতীতে সম্পর্ক ছিলো, মানুষ হিসেবে এমন এমন হবে এইসব বিষয় উনি আমাদের বললো। যদিও এখানে আমরা প্রত্যেকটা কথা পরিপূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করিনি।
২. আমার স্বামী স্বভাবগত ভাবে একটু গান, সিগারেট এসব এর প্রতি আসক্ত। পুর্বে তার একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো, বিয়েও করেছিলোো তাকে। তাই আমি আমার স্বামীর ব্যাপারে জানতে চাচ্ছিলাম যে ওকে কোনো জ্বীন আছড় করেছে কিনা, তাছাড়া তার ওই মেয়ের প্রতি কেমন আকর্ষণ আছে মনে এইসব জানার হালকা পাতলা আগ্রহ ছিলো আমার। বিশেষ করে তাকে কেউ জাদুটোনা বান বা আছড় করেছে কিনা এসব জানার জন্যই ওই হুজুর কে বলতাম। পরে হুজুর তার নাম বাবা মায়ের নাম কোমর পর্যন্ত ছবি নিয়ে কিছুদিন পর আমাকে জানায় যে জ্বীনের আছড় আছে, আর আমাকেই ভালোবাসে সে, কিন্তু ওই মেয়ের কথা মাঝে চিন্তা করে একা থাকলে। হুজুর এর বেশ কিছু কথা মিলেও যায়।
তবে আমি recently শায়খ আহমাদুল্লাহ'র ওয়াজে শুনলাম জ্বিন চালান করে খোঁজখবর নেওয়া টা শরীয়ত সম্মত পদ্ধতি নয়। উল্লেখ্য যে আমি যখন খোঁজ টা নিয়েছিলাম, আমি জানতাম না এই বিষয় টা, যে শরীয়ত সম্মত নয়। ভাবতাম উনি তো মাদ্রাসার হুজুর, অনেক উচ্চশিক্ষিত। অনেক ডিগ্রি উনার৷ তাই ভরসা করে এই কাজে আগিয়েছিলাম।
এখন আমার প্রশ্ন হোলো..
১.আমি কি এতে বড় গুনেহগার হয়ে গেছি..? এটা করা কি একদম ই ঠিক হয়নি..???
২. যদি এটা মারাত্মক গুনাহ হয়ে থাকে তবে আমি কি করবো এখন.?
আমাকে মেহেরবানি করে উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করবেন। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুক।