আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম হযরতজি।

১| আমি আমার পরিবারের জন্য রুকাইয়া করার জন্য একটি বই খুজতেছি।যেখানে আমি সকল ধরনের বৈধ রুকাইয়া করতে পারি।এমন কোন বই এর নাম জানালে উপকৃত হতাম।পরিবারের যাবতীয় সকল সমস্যার জন্য রুকাইয়া করা দরকার।
২| বন্ধাত্য দূর করার কোন আমল আছে কি?

জাযাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (689,550 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক থাকলে তা  জায়িজ।  কেননা এসব তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হয়। 
.
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ

আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}

এ হাদীস স্পষ্টভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস রাঃ তাঁর অবুঝ সন্তানদের জন্য তাবীজ লিখে তা লটকিয়ে দিতেন।

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ " اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ " .

আবূ তাহির (রহঃ) ..... আওফ ইবনু মালিক আশজা'ঈ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আবেদন করলাম- হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই- যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে। (মুসলিম ৫৬২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার ৫৫৬৯)

আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহঃ উল্লেখ করেন-

إنما تكره العوذة إذا كانت بغير لسان العرب ، ولا يدرى ما هو ولعله يدخله سحر أو كفر أو غير ذلك ، وأما ما كان من القرآن أو شيء من الدعوات فلا بأس به

নিশ্চয় নিষিদ্ধ তাবীজ হল যা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কি আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরী ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবীজে কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয় তা ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। {ফাতওয়ায়ে শামী- এইচ এম সায়ীদ ৬/৩৬৩}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রথমেই পরামর্শ দিবো,এর জন্য কোনো বৈধ রুকইয়াহ কারীর শরণাপন্ন হতে।

নিচে কিছু শরয়ি রুকইয়া সংক্রান্ত বইয়ের নাম দেওয়া হলোঃ

1. “রুকইয়াহ শরইয়াহ” – শাইখ আব্দুর রউফ বেনি

2. “রুকইয়াহ শরইয়াহ: কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে ঝাড়ফুঁক” – মুফতি ইসমাইল কামদার (বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায়)

3. “ফতওয়া ও রুকইয়া: জাদু-ভূত-চোখ লাগা ও প্রতিকার” – শাইখ আবু আম্মার ইয়াসির খান

4. “কুরআনিক রুকইয়া” / “Qur’anic Ruqyah” – Dr. Muhammad Muslehuddin

৫. “সুন্নাহর আলোকে রুকইয়াহ ও জিন সমস্যা” – মাওলানা নাসির উদ্দিন আল-আমীন

(০২)
বন্ধাত্য দূর করার জন্য আপনি যা করতে পারেনঃ

১. চিকিৎসা নেওয়া

বন্ধ্যাত্ব (Infertility) প্রায়ই শারীরিক বা হরমোনজনিত কারণে হয়।

স্ত্রী ও স্বামী উভয়েরই গাইনোকোলজিস্ট/ফার্টিলিটি স্পেশালিস্ট-এর কাছে পরীক্ষা করা জরুরি।

অনেক ক্ষেত্রে হরমোন ঠিক করা, ডিম্বাণু তৈরি বা শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা (যেমন IVF বা IUI) করলে ভালো ফল মেলে।

২. ইসলামে আল্লাহর কাছে দোয়া ও ইবাদত করার উৎসাহ আছে, তবে এটি চিকিৎসার বিকল্প নয়।

আপনি ইচ্ছা করলে চিকিৎসার পাশাপাশি কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত সাধারণ দোয়াগুলো পড়তে পারেন, যেমনঃ

সূরা আম্বিয়া ২১:৮৯

رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّ اَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ ﴿ۚۖ۸۹﴾ 
অর্থ: “হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখো না এবং তুমি তো সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী।”

সূরা ফুরকান ২৫:৭৪
رَبَّنَا ہَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا ﴿۷۴﴾

অর্থ: “হে আমাদের প্রভু! আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের আমাদের চোখের শীতলতা দান করো…”


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...