আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in দাফন ও জানাজা (Burial & Janazah) by (5 points)
ইসলামে  নীতিমতে একটি কবরের উপর আরেকটি কবর দেওয়া বৈধ নয়।
তবে এর কিছু ব্যতিক্রম বিশেষ  পরিস্থিতিতে আছে।
নবী করীম (সা:) বলেছেন, মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙা যেমন জীবিত অবস্থায় ভাঙার মতো , তেমনি কবর খনন করে অন্য কাউকে সেখানে দাফন করাও নিষিদ্ধ। তাই যাদের জমি আছে, তাদের এক কবরের উপর আরেকটি কবর দেয়া নিষিদ্ধ।  (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)

যেমন যুদ্ধা অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ , তখন ২৫ বৎসরের  উর্ধে  পুরনো কবর এবং  মৃতদেহ মাটির সাথে মিশে গেলে তখন সেখানে অন্যকে দাফন করা যায়। যুদ্ধক্ষেত্রে একাধিক শহীদকে এক কবরে দাফন করার প্রমাণ আছে। যেমন উহুদের যুদ্ধ। এটি ছিল জরুরি পরিস্থিতি।
সাধারণত শুধু পিতা,মাতা ও ভাইয়ের কবরের উপর কবর   দেয়া যায়। কিন্ত শ্বশুর বা শ্বাশুড়ির কবরের উপর জামাতার কবর দেওয়া   সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সর্টকাট করার  এই নিষিদ্ধ কাজে যে বা যারা  সহায়তা করেছে তারা গুনাহগার।
by (5 points)
শশুরের কবরের উপর জামাতাকে দেওয়া যাবে কিনা... এইটা জানার দরকার ছিল

1 Answer

0 votes
by (723,270 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
পুরাতন কবরের উপর নতুন কবর খনন করা উচিত না। তবে যদি কবর খনন করতে যেয়ে পুরাতন কবর পাওয়া যায়, এবং পুরাতন কবরের হাড্ডি পাওয়া যায়, তাহলে সেই হাড্ডিগুলো একত্রিত করে একদিকে রেখে এবং মাঠি দ্বারা আড় সৃষ্টি করে নতুন কবর খনন সম্পন্ন করা উচিত। এক্ষেত্রে পুরাতন কবরের বয়স দ্বারা নতুন কবর খননের বৈধতা দেওয়ার কোনো নিয়ম নাই। 
مأخَذُ الفَتوی
کما فی رد المحتار : و إدخال البعض على البعض قبل البلى مع ما فيه من هتك حرمة الميت الأول ، و تفريق أجزائه، فالحذر من ذلك اه ـ: و قال الزيلعي : و لو بلي الميت و صار ترابا جاز دفن غيره في قبره و زرعه و البناء عليه اهـ. قال في الإمداد : و يخالفه ما في التتارخانية إذا صار الميت ترابا في القبر يكره دفن غيره في قبره لأن الحرمة باقية ، و إن جمعوا عظامه في ناحية ثم دفن غيره فيه تبركا بالجيران الصالحين ، و يوجد موضع فارغ يكره ذلك اهـ(233/2)۔

ولا يحفر قبر لدفن آخر إلا إن بلي الأول فلم يبق له عظم إلا أن لا يوجد فتضم عظام الأول ويجعل بينهما حاجز من تراب الخ  وما يفعله جهلة الحفارين من نبش القبور التي لم تبل أربابها، وإدخال أجانب عليهم فهو من المنكر الظاهر  الخ  قلت: لكن في هذا مشقة عظيمة، فالأولى إناطة الجواز بالبلى إذ لا يمكن أن يعد لكل ميت قبر لا يدفن فيه غيره، وإن صار الأول ترابا لا سيما في الأمصار الكبيرة الجامعة، وإلا لزم أن تعم القبور السهل والوعر، على أن المنع من الحفر إلى أن يبقى عظم عسر جدا وإن أمكن ذلك لبعض الناس، لكن الكلام في جعله حكما عاما لكل أحد فتأمل ( ردالمحتار ج۲ ص ۲۳۴) 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আসলে কি জানতে চাচ্ছেন? আমরা বুঝতে পারতেছি না। আপনি কি জনতে চাচ্ছেন না আমাদেরকে কিছু জানাতে চাচ্ছেন? কমেন্টে উল্লেখ করবেন।জাযাকুমুল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...