বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামায ঘরে না পড়ে মসজিদে পড়াই সওয়াব বেশী। পুরুষদের জন্য মসজিদে মুসলমানদের জামাতের সাথে নামায পড়াই পরিপূর্ণ নামায।এমনকি বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিবও বটে।কেননা আ'মলের মাধ্যমে আ'যানের জবাব দেয়া ওয়াজিব। এ জন্য কোনো পুরুষের জন্য বিনা প্রয়োজনে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। উনার জন্য জায়েয হবে না। হ্যা প্রয়োজনে ঘরে নামায পড়া যাবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1267
আজ ১ফেব্রুয়ারি ২০২১ইংরেজী তারিখে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতে মসজিদের জামাতকে ত্যাগ করা কি জরুরী? এ প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, এখনকার পরিস্থিতি আর আগের মত নয়, তাই মসজিদের জামাতেই শরীক হতে হবে। ওয়াজিব বিধান আবার চলে এসেছে । তবে কোথাও স্বাস্থ্যববিধি কে ফলো করা না হলে, এবং সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্ধমান থাকলে, সেই জায়গার মসজিদে না যাওয়ার অনুমোদন রয়েছে। সুতরাং আপনি বিশেষ প্রয়োজন বা অসুবিধা না থাকলে মসজিদেই নামায পড়বেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আজ ১ফেব্রুয়ারি ২০২১ইংরেজী। এখন যেহেতু করুনা পরিস্থিতি আর আগের মত নয়, এখন সকলে সবখানে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করছে। ব্যবসা বাণিজ্য লেন-দেন পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ। এরকম পরিস্থিতিতে এখন আর মসজিদে জামাতে কাতারে ফাঁক রেখে দাড়ানো যাবে না। বরং মাকরুহ হবে।
(২)
সাধারণ হালতে নাক এবং মূখে কোনো প্রকার কাপড় ইত্যাদি দ্বারা ঢেকে নামায পড়া মাকরুহ।হাদীসে এর নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابي هريرة رض قال نهى رسول الله صلي اللّٰه عليه و سلم ان يغطي الرجل فاه في الصلاة
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ নামাযে মূখকে ঢেকে রাখতে নিষেধ করোছেন।(সুনানু ইবনি-মা'জা-৯৬৬)
কিন্তু করোনা পরিস্থিতে উযরের কারণে রুখসত দেয়া যেতে পারে।দারুল ইফতা দেওবন্দ-জবাব নং ৭৪৮২
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তবে উপরে আমরা বলেছি যে, এখন আর পরিস্থিতি আগরে মত নয়, তাই এখন মাস্ক পরিধান করে নামায পড়া মাকরুহ হবে।