ইমাম তাবারানী রহিমাহুল্লাহ তাঁর “আল-মু‘জামুল আওসাত”-এ এবং ইবনে আবি হাতিম, বায়হাকি প্রমুখ এ মর্মে বর্ণনা করেছেন যে:
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ أَنِسَاءُ الدُّنْيَا أَفْضَلُ أَمِ الْحُورُ الْعِينُ؟ قَالَ: بَلْ نِسَاءُ الدُّنْيَا أَفْضَلُ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ كَفَضْلِ الظِّهَارَةِ عَلَى الْبِطَانَةِ. قُلْتُ: بِمَ ذَاكَ؟ قَالَ: بِصَلَاتِهِنَّ وَصِيَامِهِنَّ وَعِبَادَتِهِنَّ لِلَّهِ أَلْبَسَ اللَّهُ وُجُوهَهُنَّ النُّورَ وَأَجْسَادَهُنَّ الْحَرِيرَ، خُضْرُ أَلْوَانُهُنَّ، صَفْرُ ذَوَائِبُهُنَّ، دُرٌّ مُتَفَلِّقٌ.
উম্মে সালামা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন:
“আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল ﷺ! দুনিয়ার নারীরা উত্তম নাকি জান্নাতের হুরেরা উত্তম?’
তিনি ﷺ বললেন:
‘দুনিয়ার নারীরাই উত্তম হুরদের চেয়ে—যেমন বাহিরের কাপড় ভিতরের আস্তরের চেয়ে উত্তম।’
আমি বললাম: ‘কিসের কারণে তারা উত্তম হবেন?’
তিনি ﷺ বললেন:
‘তাদের সালাত, সিয়াম এবং আল্লাহর এবাদতের কারণে। আল্লাহ তাদের মুখমণ্ডলকে নূরে উজ্জ্বল করবেন, শরীরকে রেশমে মুড়াবেন। তাদের রং হবে সবুজাভ, চুল হবে সোনালি আভাযুক্ত এবং তারা হবে মুক্তার মতো দীপ্তিময়।’”
(আল-মু‘জামুল আওসাত, হাদীস নং ৬৫১৩; শু‘আবুল ঈমান, হাদীস নং ৩৮৭৫)
“বাহিরের কাপড় বনাম ভিতরের আস্তর” উপমাটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে দুনিয়ার ঈমানদার নারীদের মর্যাদা, সৌন্দর্য ও জ্যোতি হুরদের চেয়ে অনেক উঁচু হবে।
এই মর্যাদা তারা অর্জন করবেন ইবাদত, ঈমান, ধৈর্য, সালাত ও সিয়ামের কারণে।
এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে দুনিয়ার ঈমানদার নারীরা শুধু সৌন্দর্যে নয় বরং আধ্যাত্মিক ও নৈতিক মর্যাদায়ও হুরদের ঊর্ধ্বে থাকবেন।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
“দুনিয়ার ঈমানদার নারীরা হুরদের চেয়েও উত্তম।” কারণ তাঁরা ইবাদত ও সৎকর্মে নিজেকে উন্নত করেছেন।
এতে বোঝা যায় যে একজন মুমিন নারী জান্নাতে অপরিমেয় মর্যাদা পাবেন—হুরদের চেয়েও উঁচু স্থানে।
কাহারো মেয়ের নাম "হুর" রাখায় আপনার কাছে যদি অপমানজনক লাগে,এজন্য আপনার গুনাহ হবেনা।