ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নিতান্তই কোনো মহিলা নিরুপায় হলে তার জন্য প্রচলিত মিক্সিং সমাজ ব্যবস্থায় চাকুরী করার রুখসত ফুকাহায়ে কিরাম দিয়ে থাকেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যখ্যা হল,
বিবাহের পূর্বে মহিলাদের ভরণ-পোষণের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তার পিতার উপর।পিতা না থাকলে বড় ভাই বা অন্যান্য গার্জিয়ানদের উপর।আর বিবাহের পর তার স্বামীর উপর।অতঃপর ছেলের উপর। তাই নিজের পায়ে দাঁড়ানো বা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মহিলাদের ভবিষ্যৎ চিন্তার আশু কোন প্রয়োজন নেই।
কারণ, আল্লাহ তা'আলা এটা বহু পূর্বেই ব্যবস্থা করে রেখেছেন।
তবে যদি দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তি না থাকে অথবা থাকা সত্ত্বেও দেখাশুনা না করে বা করতে না পারে,
তখন নিজের চলার জন্য নারী এমন কোনো পেশা গ্রহণ করতে পারে যেখানে শর'য়ী পর্দা লংঘিত হবে না। যেমনঃ- নুরানী মুআল্লীম ট্রেনিং নিয়ে বাড়ীতে বসে মহিলাগণকে কুরআনের তা'লীম দেওয়া, হাতের কাজ করা ইত্যাদি।
সর্বাবস্থায় সহ-চাকুরী থেকে বিরত থাকবে,কিন্ত যদি পূর্ণ পর্দার সাথে চাকুরী করতে অপরগ হয় অথবা সহ-চাকুরী ব্যতীত জীবিকানির্বাহের আর কোনো ব্যবস্থা না থাকে,তাহলে এতমাবস্থায় অন্যান্য হারাম কাজে জড়িত না হয়ে ইস্তেগফারের সাথে উক্ত চাকুরী করবে এবং সাথে সাথে পর্দাসহ চাকুরীকে খুজতে থাকবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/632
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি পড়াশোনা কম্পিলিট করবেন। এবং যথাসম্ভব পর্দা রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। এ সময়
আপনি ঘরে বসে পর্দা রক্ষা করে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন।এতে কোনো সমস্যা হবে না। যদি আপনাদের সাধারণ জীবনপাত করাটাও সম্ভবপর না হয়, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ পর্দাবৃত হয়ে বাহিরে চাকুরী করতে পারবেন।
যেই পাত্র বিয়ের পর স্ত্রীকে চাকুরী করতে দিবেনা বলেছে। এমন পাত্রর প্রস্তাবকে শুধুমাত্র চাকুরী ইস্যুতে ফিরিয়ে দেয়াটা মুনাসিব হবে না।