ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য শে'ফা স্বরূপ নাযিল হয়েছে।বাহ্যিক ও অন্তর্গত সকল বিষয়ে কুরআনে কারীম মানব জাতির জন্য কল্যাণকর।
কুরআনে কারীম যেভাবে একজন মানুষকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর পথে নিয়ে আসতে পারে। ঠিকতেমনি বাহ্যিক অসুস্থতাকে সুস্থতায় পরিণত করে দিতেও পারে।
কুরআনে কারীম মূত্যুর পরও কাজ দিবে।অর্থাৎ আল্লাহর হুকুমে তেলাওয়াতকারীকে করব জগতের আ'যাব থেকে রক্ষা করবে।
মোটকথাঃ
ঈসালে সওয়াব(কাউকে সওয়াব পৌছিয়ে দেয়া) হিসেবে কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করা যাবে।তবে এক্ষেত্রে বিনিময় গ্রহণ করা যাবে না।তবে হ্যা দুনিয়াবি প্রয়োজন হিসেবে চিকিৎসা স্বরূপ বিনিময়ের সাথে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে বা কোনো বিশেষ সূরা পড়া যাবে।এক্ষেত্রে অনুমোদন রয়েছে।
আল্লাম ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
ﻭﺃﺧﺬ ﺍﻷﺟﺮﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺬﻛﺮ ﻭﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻭﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻣﻤﺎ ﻫﻮ ﻣﺸﺎﻫﺪ ﻓﻲ ﻫﺬﻩ ﺍﻷﺯﻣﺎﻥ، ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻛﺬﻟﻚ ﻓﻼ ﺷﻚ ﻓﻲ ﺣﺮﻣﺘﻪ ﻭﺑﻄﻼﻥ ﺍﻟﻮﺻﻴﺔ ﺑﻪ، ﻭﻻ ﺣﻮﻝ ﻭﻻ ﻗﻮﺓ ﺇﻻ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺍﻟﻌﻠﻲ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ-
আল্লাহর যিকির বা কুরআন তেলাওয়াত করে বিনিময় গ্রহণ করা মাকরুহ।যে প্রথা বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরকম প্রথা/রুসুম চালু হয়ে গেলে সেটা হারাম হবে।এবং এর ওসিয়ত বাতিল করলে সেটাও বাতিল বলে গণ্য হবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই। (রদ্দুল মুহতার(শামেলা):২/২৪১,আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৯৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জীবিত ও মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন খতম করা যাবে। জীবিতদের জন্য হলে খাবার গ্রহণ করার রুখসত থাকলেও গ্রহণ না করাই উত্তম। তবে মৃতদের জন্য জন্য খাবার গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।