আসসালামু আলাইকুম ওস্তাদ, আমি পাক-নাপাক নিয়ে অনেক কনফিউশনে আছি, মেহেরবানী করে প্রতিটা প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিবেন। আমি অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর পড়েছি প্রায় এক ঘন্টা যাবৎ, তবু আমার কনফিউশন দূর হচ্ছে না। আমি এক জায়গায় উত্তরে দেখেছি মুফতি আব্দুল ওয়াহিদ বলেছেন অনেকটা এরকম যে , কাপড় তিনবার ধোয়া জরুরি নয়,একবার ধোয়াতে কাপড় এর নাপাকি দূর হয়ে গেলে একবার ধুইলেই হবে আর নাপাকি দূর করায় এটা যদি তিন বারের বেশি ধোয়া লাগে তাইলে তিন বারের বেশিই ধুতে হবে।কিন্তু ইমদাদুল হক বা মুফতি ওয়ালি উল্লাহ বলেছেন বালতির পানি দিয়ে তিনবারই ধুতে হবে,এর কম ধুইলে কাপড় পাক হবে না।
জাযাকাল্লাহু খয়রন।
১/ঘরের ফ্লোরে যদি বাবু প্রস্রাব করে দেয়,ওইটা যদি পরে শুকাইয়া যায়, ওযু করে এসে যদি ভেজা পায়ে ঐ শুকনা ফ্লোরে পা লাগে আর শুকনা ফ্লোর ভিজে পায়ের ছাপ বসে যায় তাহলে কি আমার পা নাপাক হয়ে যাবে?
২/নাপাক কাপড় গুলো যদি আমি আগে ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে ভালো করে কেচে নিই,তারপর একটা বালতি নিয়ে সেখানে যদি ট্যাবের পানি ছেড়ে রাখি আর ট্যাবের পানি ক্রমাগত বালতিতে পড়তে থাকে,এমন অবস্থায় আমি যদি প্রত্যেকটা কাপড় একবার একবার করে বালতির পানিতে দিয়ে তুলে নিঙড়িয়ে ফেলি তাহলে কি পাক হয়ে যাবে নাকি তিন বারই ধোয়া লাগবে?
৩/বাথরুমের ফ্লোরে যে সবসময় পানি পড়ে থাকে ওই পানিগুলা কি নাপাক?ওযু করার সময় তো ট্যাপ ছেড়ে ওজু করলে ওই ফ্লোর থেকে পানি ছিটে আসে,এতে কি কোন সমস্যা হবে?
৪/আমি এক বালতি পানি নিলাম ঐখানে একটা নাপাক কাপড় ধুইলাম,পরে ঐ একই পানিতে আমি একটা একটা করে আরও অন্য নাপাক কাপড় ধুতে পারব না?
কারণ ওই পানিতে তো একটা নাপাক কাপরের নাপাকি লেগে পুরো পানি নাপাক হয়ে যাওয়ার কথা।তাহলে কি শুধু এক বালতি পানিতে আমি একটা কাপড়ই ধুইতে পারবো? আর প্রতিটি কাপড়ের জন্য আলাদা আলাদা করে এক বালতি করে পানি নেওয়া লাগবে?
তাহলে যদি আমার আট-দশটা এরকম কাপড় থাকে, সবগুলা আমি তিনবার করে ধুইতে গেলে আমার অনেক বালতি পানি লাগবে এবং এটা অনেক কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।