আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

১।ঘরে অনেক মানুষ আসে প্রায়ই, দেখা যায় একটা কলম বা তাসবীহ ইত্যাদি ছোটখাট জিনিস ফেলে যায়, এমন জিনিসগুলো প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পেয়ে ইউজ করে ফেললে কি জায়েজ হবে?
উল্লেখ্য এত ছোট জিনিস যে সেই ব্যক্তি জানলে  অনুমতি অবশ্যই অনুমতি দিত বা পরে জানলে কিছুই মনে করবেনা।

২। অনেক সময় ভুলে যাই এই জিনিসটা কি আমাদেরই নাকি অন্য কারোর, সেক্ষেত্রে কি করা?

৩। এধরনের ছোটখাট বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা কি তাকওয়া নাকি ওয়াসওয়াসা বা ইচ্ছাকৃত নিজের উপর শরিয়া কে কঠিন করা?

৪। এপার্টমেন্টে আমরা জেনারেটর এর জন্য সার্ভিস চার্জ দেই। কিন্তু আমরা জানতে পারি অন্যান্য ফ্ল্যাটের চেয়ে আমাদের ফ্ল্যাটে সার্ভিস একটু বেশি আছে, যদিও সবার চার্জ সমান। তো এক্সট্রা সুবিধা যেটা আমরা লুকিয়ে নেইনি, আগে থেকেই ছিল, সেটা ভোগ করলে কি নাজায়েজ হবে?

৫।টেইলারিং এর কাজ হয়, তো দেখা গেলো কয়েকটা কাপড় এমন জমে গেছে যেগুলোর মালিক কে মনে নেই, অনেক দিন ধরে পড়ে আছে বোঝা হয়ে। আমানত হিসেবে রেখেছে তাই যত্ন করে রাখব বিষয়টা এমন নয়, হয়ত তারা ভুলে গেছে বা যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে, আল্লাহই ভাল জানেন।
সেসব কি গরীবকে দিয়ে দিয়ে দিব?

৬। নিজের পড়াশুনা ইত্যাদি অনেক ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও পাশের এলাকার একটি মাদ্রাসায় খিদমতের জিম্মাদারি দেয়া হয়েছে আমাকে, উম্মাহর খিদমতের নিয়তে ইস্তিখারা করে আমি দায়িত্ব নেই।

তারা যতটকু সময় দিতে বললেন, ততটুকু সময় দেয়া আমার জন্য কষ্টকর হয়, বিরক্তিকর হয়ে যায়।

এদিকে আমার অন্যান্য অনেক পড়া থাকে, তাই আমি ওনাদের প্রথমে বলি আমি সর্বোচ্চ কতটুকু সময় দিতে পারব, উনারা বলেন, বেশি সময়ই থাকবেন পাশাপাশি ফাঁকে ফাঁকে নিজের জরুরি কাজ করতে পারবেন।

এই কথার ওপর আমি নির্দিষ্ট সময় বাচ্চাদের খিদমতে ব্যয় করার পর যখন নিজের পড়ায় যাই, দেখা যায় আমার কাজ করার সময়টুকু বাচ্চারা স্বাভাবিকভাবে সময় নষ্ট করে দুষ্টুমি করে, ঐ সময়টুকুর জন্য পরবর্তীতে উনারা আমাকে বুঝাতে চেষ্টা করেন, তুমি ব্যক্তিগত যা পড়ছো এর চেয়ে বেশি উপকারী হবে ওদের দেখা শুনা করা ইত্যাদি,,।

উনারা হাদীয়া তুলনামূলক কম দেয়ায় বিষয়ে রিকুয়েস্ট করে কম দেন, এমন না যে আমি অনেক হাদীয়া নিয়ে সময় অতিরিক্ত দিচ্ছিনা।

এ ব্যাপারে আমি চিন্তা করি আমি তো শুধু আল্লাহর জন্য পড়াচ্ছি। তারপরও নিয়ম অনুযায়ী কিছু আসছে।

উনারা দ্বীনী মানুষ, উনাদের কথা সঠিক। এটা অবশ্যই আমার জন্য সওয়াবের বিষয় যদি আমি ধৈর্য ধরতে পারি।

কিন্তু নিজের পড়ার আগ্রহ বেশি থাকায় এবং বিরক্তি না আসার জন্য আমি যদি প্রথম কথার উপর থাকি, অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের পর আমার পড়াশুনায় চলে যাই, তাহলে কি আল্লাহ তাআলা আমার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন?

নাকি অনিচ্ছা সত্বেও নিজের পড়া ছেড়ে দিয়ে, বিরক্তিতে প্রাধান্য না দিয়ে উনাদের চাহিদানুযায়ী ফুল টাইম দিলে আল্লাহ বেশি খুশি হবেন?

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ছোট হোক বা বড় কিংবা তুচ্ছ থেকে তুচ্ছ, কারো অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতিত অন্যর জন্য ঐ জিনিষের ব্যবহার জায়েয হবে না।
(২) ভুলে অন্যর জিনিষ ব্যবহার করে নিলে কোনো সমস্যা নেই। স্বরণে আসার সাথে সাথেই উক্ত জিনিষ ফিরিয়ে দিতে হবে। এবং ইস্তেগফার করতে হবে। 
(৩) এধরনের ছোটখাট বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা ঠিকাছে। তবে একই বিষয় বারংবার জিজ্ঞাসা করা থেকে ওয়াসওয়াসা তৈরী হয়।সুতরাং মূলনীতি বুঝে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে চলাফেরা করাই উত্তম। নিজের বিবেক যেটাকে নাজায়েয মনে করে, সেটার ধারে কাছেও না যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
(৪)  এক্সট্রা সুবিধা গ্রহণে যদি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকে, তাহলে সেই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। নতুবা সেই সুবিধা গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
(৫) প্রথমে মালিক খুজতে হবে। মালিক খুঁজে না পেলে গরীবদেরকে দিয়ে দিতে পারবেন। যদি এরপরও মালিক বের হয়, তাহলে মালিককের অনুমোদন নিতে হবে।
(৬) যেহেতু আপনার পড়াশোনা রয়েছে, তাই যতটুকু সময় আপনি সঠিকভাবে দিতে পারবেন, ততটুকু সময় দিবেন বলে তাদেরকে বলুন। এবং সেই সময় অনুযায়ী হাদিয়া গ্রহণ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...