আসসালামু আলাইকুম। আমার বিয়ের ২ বছর, আমার জামাই প্রাইভেট জন করেন। বাসায় আমার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি আছেন। ভাসুর আছেন বিবাহিত, ২ টা ছোট ছেলে।তিনিই শ্বশুর এর ১২ বিঘার মত জমি আছে দেখাশোনা করেন আমার শ্বশুর এর সাথে। কিন্তু বেশির ভাগ কাজ আমার শ্বশুর করেন। তিনি ১০ টায় ঘুম থেকে উঠেন, নামাজ ও পড়েননা। টুকটাক কাজ করেন কিন্তু একজন সংসারী মানুষ যেমন করে তেমন না। টাকা পয়সা এদিক ওদিক করেন। সন্ধ্যা হলেই আড্ডা দিতে যান।আার জামাই তাকে অনেক বুঝায় নামাজ পড়ার জন্য, কিছু কাজ করার জন্য, নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করার জন্য কিন্তু তিনি গুরুত্বই দেননা। আমার জামাই বাসায় টাকা পাঠান বাবা-মাকে। জমির কিছু ঝামেলা থাকায় একটা বড় এমাউন্টও আমরা লোন করি তাদেরকে বাসায় পাঠাই। এভাবে করে মাঝে মাঝে আমাদেরও কষ্ট। বাড়ি ভাড়া দিয়ে বাইরে থাকা আবার বাসায় এত টাকা পাঠানো। আবার আমার খালা শ্বাশুড়ির হাসবেন্ড নেই। উনার ছোট বাচ্চা উনাকেও মাঝে মাঝে আমরা হেল্প করি। এমন অবস্থায় আমরা আমাদের এবং ভাসুরকে পৃথক করে দিতে বলি। যাতে তিনি দায়িত্ব নেন। কিন্তু আমার শ্বশুর রাজি না। তিনি ৬০+ বয়সেও অনেক কাজ করেন ক্ষেতের। জমি বিক্রি করে আমরা হজ্জে যাইতে বলি তিনি তাতেও রাজি না। মাঝে মাঝে আমার অনেক বুঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু উলটো আমাদের কথায় মন খারাপ করেন। ভাসুরের ইনকাম না থাকায় চেষ্টা না থাকায় বাধ্য হয়ে তার শ্বশুর বাচ্চাদের খাবার আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছু দিয়ে হেল্প করেন। আমার শ্বশুর ইতিমধ্যে অনেক ধার করছেন। টাকার সমস্যা হলেই আমাদের বলেন। এই অবস্থা পৃথক হতে চাওয়া বা একটা ফিক্সড এমাউন্ড শ্বশুর -শ্বাশড়িকে দিয়ে হেল্প করা ঠিক হবে? কারণ ভাসুরের সংসার চালানো তোমাদের দায়িত্ব না।আমার শ্বাশুড়ি চান আমরা যেন মিলায় চলি। পৃথক না হই। কিন্তু আমাদের জন্য নিজের+ বাসায় এত বড় সংসার চালানো অনেক কষ্ট হয়ে যায় মাঝে মাঝে। এটাকে প্রশ্ন আকারে ২০০ শব্দে লিখো ChatGPT said: আসসালামু আলাইকুম, আমার বিয়ের ২ বছর হয়েছে। আমার স্বামী প্রাইভেট চাকরি করেন। আমরা ভাড়া বাসায় থাকি, তবুও আমার স্বামী নিয়মিত বাবা-মাকে টাকা পাঠান। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আছেন, সাথে আছেন ভাসুর, যিনি বিবাহিত এবং তার দুটি ছোট সন্তান আছে। শ্বশুরের প্রায় ১২ বিঘা জমি আছে, তবে জমির বেশিরভাগ কাজ শ্বশুর একাই করেন। ভাসুর সংসারী জীবনের মতো দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করেন না। তিনি দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন, নামাজ পড়েন না, টুকটাক কাজ করলেও মূলত সময় আড্ডায় কাটান। টাকা-পয়সাও ঠিকভাবে সামলান না। আমার স্বামী বহুবার তাকে নামাজ পড়া, দায়িত্ব নেওয়া এবং সংসার সামলানোর বিষয়ে বুঝিয়েছেন, কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি। উল্টোদিকে শ্বশুরকেই তার সংসারের খরচ বহন করতে হয়। এমনকি শ্বশুর আমাদের কাছ থেকেও বারবার টাকা চান। আমরা জমির ঝামেলার কারণে বড় অঙ্কের লোন নিয়েও শ্বশুরকে দিয়েছি। এর পাশাপাশি আমার খালা-শাশুড়ির স্বামী নেই, তার ছোট বাচ্চার জন্যও আমাদের হেল্প করতে হয়। ফলে আমাদের নিজেদের সংসার চালানো এবং বাইরে থাকা মিলিয়ে চাপ বেড়ে যায়। এ অবস্থায় আমাদের প্রশ্ন হলো—আমরা কি শ্বশুর-শাশুড়িকে নির্দিষ্ট একটি ফিক্সড এমাউন্ট দিয়ে সাহায্য করবো এবং ভাসুরকে তার দায়িত্ব নিতে বলবো, নাকি পরিবারের সাথে মিলেমিশে চলার জন্য পৃথক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াই উত্তম হবে? কিন্তু পৃথক হতে চাইলে বাবা মা কষ্ট পেলে কি আমাদের গুনাহ্ হবে.