আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। কোনো বিপদ দেখলেই আমি মনে মনে ভাবতে থাকি কিছু নফল নামাজ পড়বো। রোজা রাখবো। এগুলো শুধু আমি মনে মনে ভাবি। মুখে বলি না। এখন এগুলো কি আমার নিয়ত নাকি মানত হয়ে গেছে নাকি কি  বুঝতে পারছি না।  মাঝে মাঝে বিপদ চলে  দেখা যায় নফল নামাজ পড়া হয় না আর।

রিসেন্টলি একটা বিষয় নিয়ে খুবই টেনশন এ আছি। তাই সারাদিন বিপদ দুর কেমনে হবে এটা নিয়ে ভাবতে থাকি। অমুক খারাপ কাজ ছেড়ে দিলে কি বিপদ দুর হবে কিনা, দান করবো কিনা, অনেক কিছু ভাবতে থাকি। মনে মনে। তখন ইচ্চে না থাকা সত্তেও দান করি, অনেক কাজ করি ভাবি যদি আবার মানত হয়ে যায়।

আর আমি মনে মনে কি ভাবি, বলি  ( যেমন এত টাকা দিব এই বিপদ চলে গেলে) এগুলা আমি ফোনের নোট প্যাড এ লিখে রাখি। কারন আমি কি থেকে কি ভেবে ফেলি মনে থাকে না। মনে মনে বলার পরে মনে হয় এত টাকা তো দিতে পারবো না৷ তাই যা যা ভাবি তাই লিখে রাখি। ( যে এত টাকা দান করবো)। যদি আবার মানত হয়ে যায় সেই ভয়ে৷ মুখে কিছু বলি না। কিন্তু পরে আর দান করি না। এভাবে অনেক কিছু ফোনে লিখে রেখেছি। যেগুলো মনে হয়েছিল মানত এর মত। কিন্তু পরে আবার ভুলেও গিয়েছিলাম।

প্রশ্ন:১)এভাবে মনে মনে বলা এবং  মনে মনে কি বলতেছি  এগুলো ফোনে বা খাতায় লিখে রাখার কারনে কি মানত হয়ে গেছে?

২) আপনাদের কাছে প্রশ্ন করার আগে আসে পাশে যারা দীনি বোন ছিল তাদের কে এসব ঘটনা বলে জিজ্ঞেস করেছিলাম এগুলা কি মানত কিনা। যে, আমার মনে তো এমন এমন চলে আসে। যে অমুক কাজ এর জন্য টাকা দিব, নামাজ পড়বো। তাদেরকে মুখে বলেছি এগুলো মানত এর মত করে। শুধু জানতে এটা কি মানত নাকি নিয়ত।  এতে কি আমার মানত হয়ে গেছে?

1 Answer

0 votes
by (716,130 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3318

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) এভাবে মনে মনে বলা এবং ফোনে বা খাতায় লিখে রাখার কারনে মান্নত হবে না।
(২) এতেও মান্নত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...