জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِي الله عَنْهُمَا كَانُوْا يَفْتَتِحُوْنَ الصَّلَاةَ بِ-الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ.
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ), আবুবকর ও ওমর (রাঃ) ‘আল-হামদু লিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন’ দ্বারা ছালাত শুরু করতেন।
(ছহীহ বুখারী হা/৭৪৩; মিশকাত হা/৮২৩।)
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ صَلَّيْتُ خَلْفَ النَّبِىِّ وَأَبِى بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ فَكَانُوْا يَسْتَفْتِحُوْنَ بِ (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) لاَ يَذْكُرُوْنَ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ فِىْ أَوَّلِ قِرَاءَةٍ وَلاَ فِىْ آخِرِهَا.
আনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ), আবুবকর, ওমর ও ওছমান (রাঃ)-এর পিছনে ছালাত আদায় করেছি। তারা ‘আল-হামদু লিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন’ দ্বারা ছালাত শুরু করতেন। ক্বিরাআতের প্রথমে বা শুরুতে ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ উল্লেখ করতেন না।
(ছহীহ মুসলিম হা/৯১৪, ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৩।)
আউযু বিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ্ যেহেতু ক্বেরাতের সুন্নাত।তাই যার যিম্মায় ক্বেরাত রয়েছে,অর্থাৎ কুরআন তেলাওয়াত কারী চায় ইমাম হোক বা মুনফারিদ(একাকী নামায আদায় কারী)তিনিই একমাত্র আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ্ পড়বেন।
এবং পড়াই সুন্নাত।
আল্লাম ইবনে নুজাইম রাহ লিখেন,
ان التعوذ سنة للقراءة فيأتي به كل قارئ للقرآن .....لا يأتي به المقتدي
আউযুবিল্লাহ ক্বেরাতের সুন্নত। সুতরাং ক্বারী সাহেবগণই একমাত্র পড়বেন।মুক্বতাদি পড়বেন না।(আল-বাহরুর রায়েক্ব-১/৩১১)
আউযু বিল্লাহ শুধুমাত্র প্রথম রাকাতে পড়া সুন্নত।
আর নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ্ পড়া সুন্নত।এবং সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম।অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে।তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫১, কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১৭২)
সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়া উত্তম। অবশ্য এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে।তবে সুন্নত না হওয়ার উপর সবাই-ই একমত। এবং সূরার মধ্যখান থেকে পড়লেও বিসমিল্লাহ পড়া উত্তম।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার নামাজ গুলি আদায় হয়েছে।
আউযু বিল্লাহ শুধুমাত্র প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার আগে পড়বেন।
আর নামাযের প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে নিম্নস্বরে বিসমিল্লাহ্ পড়বেন। প্রতি রাকাতে সূরায়ে ফাতেহার পর সূরা মিলানোর পূর্বে বিসমিল্লাহ্ পড়তে পারেন। নবে না পড়লেও কোনো সমস্যা নেই।
(০২)
হায়েজ অবস্থায় এটা করা যাবে।
তবে এমতাবস্থায় আপনি দোয়ার নিয়ত করবেন।
আরো জানুনঃ-