আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

মুহতারাম মুফতী সাহেব!

এক ব্যক্তি আকদে নিকাহের পর স্ত্রীকে বিভিন্ন শর্তে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করেন, যার একটি ছিল- "পুরুষত্ব হীনতা থাকলে"। অতঃপর তিনি নিজ স্ত্রীর সাথে চার রাত সহবাস করার চেষ্টা করেন। (তারপর তার স্ত্রী স্বামীর সাথে আর থাকেনি)। কিন্তু এ কয়দিনের কোনদিনই তিনি স্ত্রীর সাথে মিলিত হতে পারেননি; কারণ, তার পুরুষাঙ্গ পর্যাপ্ত পরিমাণ মজবুত হয়ে দাঁড়ায়নি।

{উল্লেখ যে,

১. তার পূর্ণ অবস্থা এমন ছিল- ফোরপ্লেতে তার পেনিসে ইরেকশন পূর্ণভাবে ঠিক থাকতো, কিন্তু সহবাস শুরু করার আগের মূহুর্তে পেনিসে শিথিলতা চলে আসতো, যেকারণে সে সঙ্গম করতে সক্ষম হয়নি। তবে প্রত্যেক আগের দিনের তুলনায় পরের দিন তার পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর মাত্রা বেশি ছিল; কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্ত না হওয়ায় তিনি সহবাস করতে পারেননি।

২. একজন অভিজ্ঞ যৌন বিশেষজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার উক্ত ব্যক্তির সকল অবস্থা শুনে এবং তার শারীরিক ও মেডিকেলি অন্যান্য পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে, তার মধ্যে যৌন অক্ষমতার কোন কারণ বিদ্যমান নেই। তবে যা ঘটেছে সেটা মূলত নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে মানসিক ও পরিস্থিতি-ভিত্তিক প্রতিক্রিয়া, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় “সিচুয়েশনাল পারফরম্যান্স অ্যানজাইটি” (Situational Performance Anxiety) বলা হয় (যা উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও প্রত্যাশা, পারফরম্যান্সে অতিরিক্ত মনোযোগ.. এ জাতীয় কারণে ঘটে)। অর্থাৎ তার এই সমস্যাটি সাময়িক, যা কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে এবং তিনি স্ত্রী সহবাস করতে সক্ষম হবেন।}

এ পর্যায়ে শ্রদ্ধেয় মুফতি সাহেবের নিকট প্রশ্ন হল-

১. কোন যৌন অক্ষমতার কারণে স্ত্রী স্বামী থেকে বিচ্ছিন্নতার দাবি করতে পারে বা তালাক গ্রহণ করতে পারে? সাময়িক অক্ষমতার কারণে নাকি স্থায়ী অক্ষমতার কারণে?

২. শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে উক্ত ব্যক্তি কে যৌন অক্ষম তথা عنين গণ্য করা যাবে?

৩. এ কয়দিন ঘটে যাওয়া অবস্থার উপর ভিত্তি করে উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী কি স্বামীর যৌন অক্ষমতা কারণ দর্শিয়ে এখনই নিজের উপর তালাক গ্রহণ করতে পারবে? নাকি স্বামীকে এক বছর সুযোগ দেওয়ার পর সে সুস্থ (যৌন সক্ষম) না হলে, তখন তালাক গ্রহণ করতে পারবে?

৪. উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী যদি উল্লেখিত কারণ দর্শিয়ে এখনই নিজের উপর তালাক পতিত করে, তাহলে সে কি পুর্ণ মহর পাবে?

অনুগ্রহ করে এ বিষয়গুলোর সুস্পষ্ট সমাধান জানিয়ে আমাকে চির কৃতজ্ঞ করবেন।<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250921_053437_273.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (681,330 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক চাওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِيْ غَيْرِ مَا بَأْسٍ ؛ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ.

‘‘যে কোন মহিলা কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া নিজ স্বামীর নিকট তালাক চাইলো তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে’’। (আবূ দাউদ ২২২৬; তিরমিযী ১১৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২০৫৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
স্বামী প্রথম থেকেই অক্ষম হলে, স্বামীকে এক বৎসরের অবকাশ দেয়া হবে। এক বৎসর পর সক্ষম না হলে, হয়তো স্বামী তালাক দিবে, নতুবা স্ত্রী মহর ফিরিয়ে দেয়ার শর্তে খুলা তালাকের আবেদন করবে।অথবা আদালত বিবাহ ভঙ্গ করে দিবে। 

فتح القدير للكمال ابن الهمام (4/ 297):
“(وإذا كان الزوج عنينا أجله الحاكم سنة، فإن وصل إليها وإلا فرق بينهما إذا طلبت المرأة ذلك) هكذا روي عن عمر وعلي وابن مسعود، ولأن الحق ثابت لها في الوطء، ويحتمل أن يكون الامتناع لعلة معترضة، ويحتمل لآفة أصلية فلا بد من مدة معرفة ذلك، وقدرناها بالسنة لاشتمالها على الفصول الأربعة. فإذا مضت المدة ولم يصل إليها تبين أن العجز بآفة أصلية ففات الإمساك بالمعروف ووجب عليه التسريح بالإحسان، فإذا امتنع ناب القاضي منابه ففرق بينهما ولا بد من طلبها لأن التفريق حقها

যদি স্বামী প্রথমে সুস্থ ও সক্ষম থাকে, এবং পরবর্তীতে অক্ষম হয়, তাহলে তখনও কি উপরোক্ত বিধান প্রযোজ্য হবে? এ সম্পর্কে বিশেষ কোনো শাখাপ্রশাখাগত মাস'আলা খুজে পাওয়া যায় না, তবে মুফতি কেফায়তুল্লাহ এবং দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়ার আলোকে বলা যায় যে, এক্ষেত্রেও পূর্বের মত বিধান প্রযোজ্য হবে। তথা স্বামীকে এক বৎসর পর্যন্ত অনুমোদন দেয়া হবে।

আরো জানুনঃ- 

স্বামী স্ত্রীর সহবাস অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 990

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
১. স্থায়ী ভাবে যৌন অক্ষমতার কারণে স্ত্রী স্বামী থেকে বিচ্ছিন্নতার দাবি করতে পারে। 

২. প্রশ্নের বিবরন মতে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে উক্ত ব্যক্তি কে যৌন অক্ষম তথা عنين গণ্য করা যাবেনা।

৩. এ কয়দিন ঘটে যাওয়া অবস্থার উপর ভিত্তি করে উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী স্বামীর যৌন অক্ষমতা কারণ দর্শিয়ে এখনই নিজের উপর তালাক গ্রহণ করতে পারবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত স্বামী যৌন অক্ষম নন।

সুতরাং উক্ত স্ত্রী কোনোক্রমেই নিজের উপর তালাক গ্রহণ করতে পারবেনা। 

৪. উক্ত ব্যক্তির স্ত্রী যদি উল্লেখিত কারণ দর্শিয়ে এখনই নিজের উপর তালাক পতিত করে,সেক্ষেত্রে তালাক পতিত হবেনা।
মোহরানা কথা এখানে আসবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...