আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।  বয়সন্ধিকাল থেকেই মুখে ব্রণ যা এলার্জিজনিত। ডাক্তার দেখানোর পরেও ঠিক হচ্ছেনা। ৮/৯ বছরের বেশি সমিয় ধরে এইগুলো থেকেই যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ধৈর্য্য ধরা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। ভেঙ্গে পড়ছি বার বার(আল্লাহ মাফ করুন)। এমন কোন সুন্নাতি উপায় বা কুরআনের আয়াত বা আমল কি আছে যা আমাকে বিয়ের নিয়তে সৌন্দর্য বর্ধনে অথবা এ ধরনের রোগ মুক্তিতে সাহায্য করবে? আল্লাহ উত্তরকারীর জীবনে বারাকাহ দান করুন।

1 Answer

0 votes
by (681,540 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِهِمُ الطَّيْرُ فَسَلَّمْتُ ثُمَّ قَعَدْتُ فَجَاءَ الأَعْرَابُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَتَدَاوَى فَقَالَ " تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلاَّ وَضَعَ لَهُ دَوَاءً غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ الْهَرَمُ " .

উসামা ইবন শারীক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন সময় আসি, যখন তাঁর সাহাবীগণ তাঁর চারপাশে এমন ভাবে বসে ছিল, যেন তাঁদের মাথার উপর পাখী বসে আছে (অর্থাৎ শান্তভাবে)। এরপর আমি সালাম করি এবং বসে পড়ি। এ সময় আরবের লোকেরা এদিক-সেদিক থেকে সেখানে সমবেত হয় এবং তারা বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি চিকিৎসা করাব? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, তোমরা রোগের চিকিৎসা করাবে। কেননা, আল্লাহ তা’আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি, যার চিকিৎসার জন্য ঔষধের ব্যবস্থা রাখেন নি; তবে বার্ধক্য এমন একটি রোগ যার কোন চিকিৎসা নেই।
(আবু দাউদ ৩৮১৫)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
চিকিৎসা গ্রহন করা সুন্নাত,সুতরাং আপনি  বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে পারেন।
এলোপ্যাথে ওষুধ দিয়ে কাজ না হলে প্রয়োজনে হোমিওপ্যাথি বা আয়ুর্বেদিক ওষুধ আপনাকে সেবন করতে পারেন

ইসলামে শারীরিক অসুখকে শুধু দুনিয়ার পরীক্ষা নয়, বরং গুনাহ মাফের একটি উপায় হিসেবেও বলা হয়েছে। তবে চিকিৎসা গ্রহণ করা সুন্নাহ এবং ওয়াজিবের কাছাকাছি।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“আল্লাহ তাআলা যে রোগই সৃষ্টি করেছেন, তার জন্য চিকিৎসাও সৃষ্টি করেছেন।”
(সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)

কিছু আমল ও দুআ

১. সূরা ফাতিহা, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে শরীরে ফুঁ দিন।

২. বিসমিল্লাহ বলে হাতের তালুতে ফুঁ দিয়ে অসুস্থ অংশে হাত বুলিয়ে নিন (এটা নবীজি ﷺ করতেন)।

৩. নিয়মিত আয়াতুল কুরসি পড়ুন।
৪. অসুখ বা কষ্টে রাসূল ﷺ এর দোয়া:

“আল্লাহুম্মা রব্বান্নাস, আজহিবিল-বা‘স, ইশফি আনতাশ-শাফি, লা শিফা’আ ইল্লা শিফাউক, শিফা’আন লা ইউগাদিরু সাকামান।”
(হে আল্লাহ! মানুষদের প্রতিপালক, কষ্ট দূর করুন, শিফা দান করুন। আপনার শিফা ছাড়া আর কোন শিফা নেই। এমন শিফা দিন যাতে কোন রোগ অবশিষ্ট না থাকে।)

★ ইউনানী ওষুধ হামদার্দ এর ছাফী (SAFI) নিয়মিত খেতে পারেন

কিছু সুন্নাতি চিকিৎসা

১. কালোজিরা (হাব্বাতুস সৌদা) – হাদিসে এসেছে: “এটা মৃত্যুর বাইরে সব রোগের শিফা।” (বুখারী, মুসলিম)

 তবে মাত্রা মেনে (খাবারের সাথে অল্প) গ্রহণ করবেন।

2. মধু – কুরআনে আল্লাহ বলেন, “তাতে মানুষের জন্য রয়েছে শিফা।” (সূরা নাহল ১৬:৬৯)

গরম পানির সাথে খেলে উপকারী হতে পারে।

3. রুকইয়াহ শারইয়া – কুরআন ও হাদিসের দোয়াগুলো পড়ে পানি ও অলিভ অয়েলে ফুঁ দিয়ে ব্যবহার করা যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...