আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
9 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আমি একজন আইজীবী !আইনজীবী হিসাবে ব্যাংক তার পক্ষ হয়ে আমাকে মামলা পরিচালনার জন্য দেয়। সেটার জন্য আমাকে ব্যাংক আমাকে এক কালীন অর্থ ফিস হিসেবে দেয়। প্রশ্ন হচ্ছে আমার এই উপার্জন কি ইসলামিক ভাবে হালাল হবে ???

1 Answer

0 votes
ago by (672,210 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

যদি ব্যাংকের মামলা সরাসরি সুদ আদায়, সুদ-সম্পর্কিত চুক্তি বাস্তবায়ন, কিংবা মানুষকে সুদের দেনায় ডুবিয়ে দেওয়ার কাজে হয়—তাহলে এমন মামলা লড়া হারাম ও জায়েজ নয়। কারণ এতে আপনি সুদকে সহযোগিতা করছেন।

তবে, যদি মামলা সুদ-সম্পর্কিত না হয়, বরং ব্যাংকের অন্য বৈধ কার্যক্রম যেমন—

সুদ বিহীন আমানত ফেরত আনা,
কর্মচারীর অধিকার,
সম্পত্তি বা চুরির মামলা,
কোনো জালিয়াতির প্রতিকার
ইত্যাদি বিষয়ে হয়, তখন আইনজীবী হিসেবে সেই মামলা লড়া জায়েজ হতে পারে।

ফাতওয়ার কিতাবে এসেছে,
“যে ব্যক্তি হারামে সহযোগিতা করে, তার উপার্জন হারাম।”
(ফতাওয়ায়ে হিন্দিয়া (৫/৩৪৪)

“ব্যাংকের আইনজীবী যদি সুদ আদায়ের মামলায় অংশগ্রহণ করে, তবে সে রিবা বাস্তবায়নে সহযোগী হবে, যা শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম।”
(আল-ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিলাতুহু – ড. ওয়াহবা যুহাইলি (৫/৩৯২২)

ব্যাংকের হয়ে সুদ আদায়ের মামলা লড়া জায়েজ নয়। তবে ব্যাংকের অন্য বৈধ বিষয়ে মামলা পরিচালনা করলে সমস্যা নেই।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি সুদ আদায়ের মামলায় অংশগ্রহণ করেন, তবে রিবা বাস্তবায়নে সহযোগী হবেন, যা শরীয়তে সম্পূর্ণ হারাম।
এক্ষেত্রে উক্ত উপার্জনও হারাম হবে।

তবে যদি সুদ-সম্পর্কিত কাজের মামলা না হয়, বরং ব্যাংকের অন্য বৈধ কার্যক্রম হয়,সেক্ষেত্রে উক্ত উপার্জন হালাল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...