বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনি ইসরাঈল-২৩)
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতার সাথে সদা সর্বদা ভালো ও উত্তম আচরণ করতে হবে। কখনো তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা যাবে না। আপনার যদি মনে হয় যে, মাতাপিতা আপনার প্রতি জুলুম করছে, তাহলে আপনি তাদেরকে কিছু না বলে নিরাপদ দূরত্বে থাকবেন। সর্বদা সতর্ক থাকবেন, আপনার কোনো কথা বা কাজ দ্বারা তারা যেন কষ্ট না পায়।হ্যা, আল্লাহর অবাধ্যতায় তাদের কোনো নির্দেশকে মান্য করা যাবে না।
(১) সর্বদা মাতাপিতার কথা ও পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন।তাদের কাছ ঘেষে থাকবেন।তাদের সেবাশুশ্রূষা করবেন। ধীরে ধীরে ঐ ভয় চলে যাবে ইনশাআল্লাহ।
(২) মাতাপিতাই এই পৃথিবীর সবচেয়ে আপনজন। সুতরাং তারা আপনাকে আপনার কল্যাণ বিবেচনায় কথা শুনিয়েছেন বা রাগ অভিমান করেছেন। সুতরাং এইসবকে গায়ে না লাগানোই উত্তম।