ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবু মুসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
"حدثنا أبو بكر بن أبي شيبة، وعبد الله بن براد الأشعري، وأبو كريب، قالوا: حدثنا أبو أسامة، عن بريد، عن أبي بردة، عن أبي موسى، قال: «ولد لي غلام فأتيت به النبي صلى الله عليه وسلم فسماه إبراهيم وحنكه بتمرة»".صحيح مسلم (3/ 1690)
আমার এক সন্তানের জন্ম হলে, আমি তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের নিকট নিয়ে গেলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নাম রাখেন ইবরাহিম। অতঃপর খেজুর দিয়ে তাহনিক করেন, তার জন্য বরকতের দো‘আ করেন এবং আমার কাছে ফিরিয়ে দেন। এটা আবু মুসার বড় সন্তানের ঘটনা।( সহীহ মুসলিম)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) জ্বী, বিশেষ জরুরত বশত সপ্তম দিনে নবজাতকের কানে আযান ও ঈক্বামত এবং তাহনিক করতে পারবেন।এতে কোনো সমস্যা হবে না।
(২) চুল মুন্ডানো বা কর্তনের পর সদকাহ করার জন্য ওজন পরিমাণ করে সদকাহ করে নিবেন। পরিমাপণন করা সম্ভব না হলে অনুমান করে সদকাহ করে নিবেন।
(৩) নবজাতকের চুল মুন্ডাবেন না ট্রিম করবেন। এ বিষয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
(৪)আপনার মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে পরামর্শ করে সুন্দর অর্থবহ কোনো নাম রেখে দিবেন।
(৫)নেফাস অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা যায় না।তাই আপনার স্ত্রী যিকির আযকার করবে।
(৬) প্রতিদিন বাচ্চার সামনে আপনি কুরআন তিলাওয়াত করবেন।বাচ্চাকে ফু দিবেন।
(৭) কুরআনের অডিও রেকর্ডিং চালিয়ে রাখলে সেটাকে শোনতে হবে। বাচ্চাদের জন্য অডিও চালিয়ে রাখা কুরআনের আদব ও সম্মানের সাথে যায় না। সুতরাং তিলাওয়াত করে নিবেন তবে রেকর্ড না চালানো উচিত।
(৮)আল্লাহ আপনার সন্তানকে নেক হায়াত দান করুক।মুত্তাকিনদের ইমাম বানিয়ে দেউক।