আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
28 views
in সাওম (Fasting) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহু উস্তাদ আমি এই প্রশ্নটি করেছিলাম, ❝আমার ছেলে যেন মাদ্রাসায় ভালো মতো মন বসে সেই জন্য প্রত্যেক মাসে ৫ টা রোজা রাখার মানত ( এটা আমার এক আন্টি করেছিলেন তার তরফ থেকে আমি এই রোজা রেখে দেই এভাবে কি আমি রাখতে পারবো এই ওয়াজিব রোজা তার পক্ষ থেকে, নফল রোজার সাথে)❞ আমাকে উত্তর দেয়া হয়েছিল যে ❝রাখা যাবে না❞।

উস্তাদ আমার এই বিষয় এ আর একটা প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই রাজাগুলো যখন আন্টি অসুস্থ থাকতেন তখনই আমি রাখতাম। তো সেই ক্ষেত্রেও কি রাখা যাবে না? আর এতদিন যেকয়টি রেখেছি রোজা সেইগুলো(৬, ৭ মাসের রোজা হবে হয়তো) কি আবার রাখতে হবে কারণ তখন আন্টি অসুস্থ ছিলেন তাই আমি রেখেছিলাম? একটু জানাবেন উস্তাদ ইন শা আল্লাহ!!

1 Answer

0 votes
by (84,270 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/37784/  নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻄﻴﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﻄﻌﻪ ﻭﻣﻦ ﻧﺬﺭ ﺃﻥ ﻳﻌﺼﻴﻪ ﻓﻼ ﻳﻌﺼﻪ

রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর আনুগত্যশীল কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অবাধ্যতা মূলক কোনো জিনিষ দ্বারা মান্নত করবে, সে যেন তা পূর্ণ না করে। (সহীহ বোখারী-৬৩১৮)

,

যে কোনো জিনিষের মান্নত ওয়াজিব হবে না অর্থাৎ মান্নত করলেই যে শুধু ওয়াজিব হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়। বরং কুরবতে মাকসুদাহ তথা ইবাদত হিসেবে গণ্য এমন কোনো জিনিষের মত কিছু দ্বারা মান্নত করতে হবে, তবেই তা ঐ ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হিসেবে গণ্য হবে। যেমন, কোনো কাজ হয়ে গেলে  প্রাণী জবাহ করার দ্বারা মান্নত করা। এই মান্নত গ্রহণযোগ্য হবে। কেননা প্রাণী যবেহ করা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যেহেতু আমরা প্রাণী যবেহ করেই ঈদে কুরবানি করি, ইত্যাদি ইত্যাদি।

,

যে জিনিষের মান্নত করা হবে,হুবহু সেটাই আদায় করতে হবে? নাকি এর মূল্য বা অন্য কিছু দ্বারা আদায় করলে মান্নত আদায় হয়ে যাবে? এ সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

জুমহুর উলামায়ে কেরাম বলেন, হুবহু ঐ জিনিষ দ্বারাই মান্নত আদায় করতে হবে।হানাফি মাযহাবের উলামায়ে কেরাম এক্ষেত্রে কিছুটা শীতিলযোগ্য বিধান প্রণয়ন করেছেন। তারা বলেন,

যদিও মান্নতকৃত জানোয়ারকে সদকা করাই উত্তম ছিলো, তথাপিও তার মূল্য দিয়ে দিলে মান্নত আদায় হয়ে যাবে। (নাওয়াযিলুল ফাতাওয়া-১০/৩০২;ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-১২/৭৩)

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

,

যিনি মান্নত করেছেন তাকেই রোজা রাখতে হবে। তার পক্ষ থেকে অন্য কেউ উক্ত মান্নতের রোজা রাখলে হবে না। সুতরাং আপনি আপনার আন্টির মান্নতের রোজা রাখলে হবে না। আপনার আন্টিকেই রাখতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
উস্তাদ তাহলে এতদিন যে রোজাগুলো আমি রেখে দিয়েছিলাম সেইগুলো কি আবার আন্টিকে রাখতে হবে??

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,350 views
0 votes
1 answer 27 views
...