আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
14 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited ago by
একজন বোনের হাসব্যান্ড রাতে বাথরুমে যায় এবং ওই মূহুর্তে বৃষ্টি হচ্ছিল প্রচন্ড। তিনি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেন দ্রুত দরজা লাগিয়ে ঘরে আসবেন কিন্তু তাড়াহুড়োর কারনে দরজা ভালো মতো লাগা হয়নি এবং পরক্ষনেই সম্ভবত বাতাসের কারনেই দরজা খুলে যায়। ওনার এতে রাগে গজগজ অবস্থা এবং রাগের চোটে ওই মূহুর্তে আল্লাহ সুব-হানাহু ওয়া তা'আলা কে গালি দিয়ে বসেন (নাউযুবিল্লিহ)। এখন এই গর্হিত কাজের জন্য কি তিনি কাফের হয়ে গেছেন? যদিও বা তিনি আন্তরিকতার সহিত তাওবা করেছেন। উনি খুবই চিন্তিত যে এতে তার ঈমান চলে গেল কিনা এবং ওনার স্ত্রীর সাথে তালাক হয়ে গেছে কিনা।


বি:দ্র: উনি ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ কে গালি দেননি, এই ঘটনার কিছু সময় পর থেকেই শয়তান ওনাকে ওয়াস ওয়াসা দিচ্ছেন উনি কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছেন না।

1 Answer

0 votes
ago by (702,630 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
"الدر المختار " (4/ 224):
"(وشرائط صحتها العقل) والصحو (والطوع) فلا تصح ردة مجنون، ومعتوه وموسوس، وصبي لايعقل وسكران ومكره عليها، وأما البلوغ والذكورة فليسا بشرط بدائع".
قال ابن عابدین رحمه الله:
" قال في البحر والحاصل: أن من تكلم بكلمة للكفر هازلاً أو لاعبًا كفر عند الكل ولا اعتبار باعتقاده، كما صرح به في الخانية. ومن تكلم بها مخطئًا أو مكرهًا لايكفر عند الكل، ومن تكلم بها عامدًا عالمًا كفر عند الكل، ومن تكلم بها اختيارًا جاهلاً بأنها كفر ففيه اختلاف. اهـ".
কুফরি কালিমা উচ্ছারণপূর্বক কাফির সাব্যস্ত হওয়ার জন্য শর্ত হল, জ্ঞান থাকা,সুস্থ মস্তিষ্ক হওয়া। সুতরাং কুফরি কালিমা উচ্চারণ করার দরুণ পাগল,অসুস্থ মস্তিষ্কের অধীকারি ব্যক্তি এবং ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তি, নবালক সন্তান, নেশাগ্রস্ত এবং ঐ ব্যক্তি যার উপর বল প্রয়োগ হচ্ছে, তার  ঈমান নষ্ট হবে না।
ইবনে আবেদীন রাহ বলেন,
মোটকথা, যে ব্যক্তি রংতামাশা বশত কুফরি কালিমা উচ্চারণ করে নিল, তার ঈমান চলে যাবে। তার নিয়তেে দিকে দৃষ্টি দেয়া হবে না। আর যে ব্যক্তি ভুলে বা বল প্রয়োগের দরুণ কুফরি কালিমা উচ্চারণ করলো, তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।  তবে যেই ব্যক্তি জেনে বুঝে কুফরি কালিমা উচ্চারণ করবে, তার ঈমান চলে যাবে । কিন্তু যদি কেউ কুফরি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পরও অনিচ্ছায় মনের অজান্তে কুফরি কালিমা উচ্চারণ করে ফেলে, তাহলে তার ঈমান বাকী থাকবে কি না? এ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে....(রদ্দুল মুহতার-৪/২২৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7748

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু মনের অজান্তে ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে গালি দিয়ে ফেলছে, তাই ঐ ব্যক্তির ঈমান থাকবে কি না? এ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। এজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হল, তাওবাহ করে ঈমান নবায়ন করে নেওয়া এবং বিবাহকে দোহড়িয়ে নেওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...