ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি ঠান্ডা পানি ব্যবহারে জীবন নাশ বা অসুস্থতা বৃদ্ধির আশংকা থাকে,তাহলে গরম পানি দিয়ে গোসল করে নামায আদায় করতে পারবেন।এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শীতিলতা নেই।হ্যা গরম পানির যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে অথবা গরম পানি ব্যবহার করলেও অসুস্থতা বৃদ্ধির পূর্ণ আশংকা থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করততে পারবেন।(আহসানুল ফাতাওয়া-২/৫৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/938
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঠান্ড জনিত সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি,যাকে কমপক্ষে দু'জন মুসলিম ডাক্তার ঠান্ডা না লাগাতে সতর্ক করেছে,তিনি প্রথমে গরম পানি দ্বারা উনার ফরয গোসল সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন।যদি গরম পানি তিনি না পান বা গরম পানি ব্যবহার উনার জন দুস্কর হয়ে দাড়ায় কিংবা গরম পানির ব্যবহার ক্ষতিকর প্রমাণিত হয় ,তাহলে তিনি তখন তায়াম্মুম করতে পারবেন।
সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী,
স্বপ্নদোষ হলে আর এসময় গোসল করলে জ্বর/ঠান্ডা লাগতে পারে, এমন আশঙ্কায় পরেরদিনের জন্য গোসলকে অবশিষ্ট রাখা কোনোমতেই জায়েয হবে না। বরং গোসল করতেই হবে।কেননা তাকে তো নামায পড়তে হবে। হ্যা, নিশ্চিত ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তখন তায়াম্মুম করা জায়েয হবে। তবে গরম পানির ব্যবস্থা থাকলে,তখন তায়াম্মুম করা জায়েয হবে না।তখন গরম পানি দ্বারা উনাকে গোসল করতেই হবে।
শুধুমাত্র অযু করে সলাত,কুরআন কোনোটাই পড়া যাবে না।