আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in সালাত(Prayer) by (54 points)
স্বলাতে মেয়েরা কি সামান্য শব্দ করে তিলওয়াত করতে পারবে? অনেক সময় মুখ নাড়িয়ে পড়তে গেলে হালকা শব্দ হয় সেক্ষেত্রে কি সমস্যা হবে? কখনো হঠাৎ করে খুব সামান্য শব্দ হয়ে গেলে সালাত ভেঙ্গে যাবে?


সালাতের মধ্যে কারো কথা শুনে সামান্য হাসি আসলে কিন্তু তৎক্ষনাৎ হাসি আটকে রাখলে এবং মুখের কোনো পরিবর্তন না হলে  কি সালাত ভেঙ্গে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
মহিলারা  সকল নামাজেই এই রকম আস্তে আওয়াজে তেলাওয়াত করবে,যেমনটি পুরুষরা আস্তে কেরাতের নামাজে পড়ে থাকে।
অর্থাৎ নিজ কানে যেনো আওয়াজটি  আসে।   

কখনো যদি আবদ্ধ ঘরে যেখানে কোনো পুরুষ নেই,জোড়ে আওয়াজে পড়ে,তাহলেও নামাজ হয়ে যাবে।
নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে না।
ফাতাওয়ায়ে শামী ১;৫০৪
,
কখনো হঠাৎ করে খুব সামান্য শব্দ হয়ে গেলে সালাত ভেঙ্গে যাবেনা।
,
বিস্তারিত জানুনঃ  
,
(০২)
নামাজে হাসির যদি নিজে শোনার মতো সামান্যও আওয়াজ হয়,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
যদি আওয়াজ বের না হয়,তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مصنف عبد الرزاق الصنعاني (2/ 376):
"عن معمر، عن قتادة، عن أبي العالية الرياحي: أن رجلًا أعمى تردى في بئر والنبي صلى الله عليه وسلم يصلي بأصحابه، فضحك بعض من كان يصلي مع النبي صلى الله عليه وسلم، فأمر النبي صلى الله عليه وسلم: «من ضحك منكم فليعد الصلاة»".

সারমর্মঃ এক অন্ধ ব্যাক্তির কুপে পড়ে যাওয়ার উপক্রম দেখে নামাজে কিছু ছাহাবী হেসেছিলো,রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে যারা হেসেছে,তারা যেনো নামাজ আবার আদায় করে। 

سنن الدارقطني (1/ 307):
"عن منصور الواسطي هو ابن زاذان، عن ابن سيرين، عن معبد الجهني، قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم يصلي الغداة، فجاء رجل أعمى وقريب من مصلى رسول الله صلى الله عليه وسلم بئر على رأسها جلة، فجاء الأعمى يمشي حتى وقع فيها، فضحك بعض القوم وهم في الصلاة، فقال النبي صلى الله عليه وسلم بعدما قضى الصلاة: «من ضحك منكم فليعد الوضوء وليعد الصلاة»". 

সারমর্মঃ এক অন্ধ ব্যাক্তির কুপে পড়ে যাওয়ার উপক্রম দেখে নামাজে কিছু ছাহাবী হেসেছিলো,রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে যারা হেসেছে,তারা যেনো নামাজ আবার আদায় করে। 

عن أبي موسی رضي اللہ عنہ قال بینما رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم یصلي إذ دخل رجل فتردی فی حفرة کانت في المسجد وکان ببصرہ ضرر فضحک کثیر من القوم وہو فيا لصلاة فأمر رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم من ضحک أن یعد الوضوء ویعید الصلاة رواہ الطبراني في الکبیر ورجالہ موثقون․

 أخبرنا أبو حنیفة قال حدثنا منصور بن زاذان عن الحسن البصري عن النبي صلی اللہ علیہ وسلم انہ قال: بینما ہو في الصلاة إذ أقبل رجل أعمی من قبل القبلة یرید الصلاة والقوم في صلاة الفجر فوقع في زبیة فاستضحک بعض القوم حتی قہقہ فلما فرغ رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم قال: من کان قہقہ منکم فلیعد الوضوء والصلاة رواہ الإمام محمد في کتاب الآثار․

এই হাদীস গুলোরও সারমর্মঃ এক অন্ধ ব্যাক্তির কুপে পড়ে যাওয়ার উপক্রম দেখে নামাজে কিছু ছাহাবী হেসেছিলো,রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে যারা হেসেছে,তারা যেনো নামাজ আবার আদায় করে। 

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 115 views
...