ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/19110/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
গোনাহ করার পর উক্ত গোনাহকে প্রকাশ না করার নির্দেশ রাসূলুল্লাহ
সা. দিয়েছেন। যেমন- আবূ হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
عَنْ
سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ
رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : ( ﻛُﻞُّ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣُﻌَﺎﻓًﻰ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫِﺮِﻳﻦَ
ﻭَﺇِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻤُﺠَﺎﻫَﺮَﺓِ ﺃَﻥْ ﻳَﻌْﻤَﻞَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻋَﻤَﻠًﺎ ﺛُﻢَّ ﻳُﺼْﺒِﺢَ
ﻭَﻗَﺪْ ﺳَﺘَﺮَﻩُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝَ ﻳَﺎ ﻓُﻠَﺎﻥُ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺣَﺔَ ﻛَﺬَﺍ
ﻭَﻛَﺬَﺍ ﻭَﻗَﺪْ ﺑَﺎﺕَ ﻳَﺴْﺘُﺮُﻩُ ﺭَﺑُّﻪُ ﻭَﻳُﺼْﺒِﺢُ ﻳَﻜْﺸِﻒُ ﺳِﺘْﺮَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻨْﻪُ
)
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি
যে, আমার সকল উম্মাতকে মাফ করা হবে, তবে প্রকাশকারী
ব্যতীত। আর নিশ্চয় এ বড়ই অন্যায় যে, কোন লোক রাতের বেলা অপরাধ করল যা আল্লাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু
সে সকাল হলে বলে বেড়াতে লাগল,
হে অমুক! আমি আজ রাতে এই এই কাজ করেছি। অথচ সে এমন অবস্থায় রাত
কাটাল যে, আল্লাহ তার কর্ম লুকিয়ে রেখেছিলেন, আর সে ভোরে উঠে
তার উপর আল্লাহর দেয়া আবরণ খুলে ফেলল। (সহীহ বুখারী-৬০৬৯,সহীহ মুসলিম-২৯৯০)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/906
.
https://www.ifatwa.info/1855 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ বলেন,
" قَالَ الْعُلَمَاء : كَانَ الصَّوَاب فِي
حَقّه إِجَابَتهَا لِأَنَّهُ كَانَ فِي صَلَاة نَفْل , وَالِاسْتِمْرَار فِيهَا
تَطَوُّع لَا وَاجِب , وَإِجَابَة الْأُمّ وَبِرّهَا وَاجِب , وَعُقُوقهَا حَرَام
, وَكَانَ يُمْكِنهُ أَنْ يُخَفِّف الصَّلَاة وَيُجِيبهَا ثُمَّ يَعُود
لِصَلَاتِهِ ... " انتهى
উলামায়ে কেরাম বলেন,জুরাইজের উচিৎ ছিলো, মায়ের ডাকের জবাব দেয়া। কেননা উনিতো নফল সালাতে ছিলেন। নফল নামাযকে
সম্পন্ন করা মুস্তাহাব। ওয়াজিব নয়। অন্যদিকে মায়ের ডাকে জবাব দেয়া এবং মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার
করা ওয়াজিব এবং মায়ের নাফরমানি করা হারাম।উনার জন্য সম্ভব ছিলো যে,নামাযকে সংক্ষেপণ
করে মায়ের ডাকে জবাব দেয়া উনার জন্য সম্ভব ছিলো। অতঃপর ফিরে গিয়ে আবার নামাযকে সমাপ্ত
করবেন। (আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২০/৩৪২)
.
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
.
নিজে সংশোধন হওয়ার নিমিত্তে কোনো মুফতির নিকট বা বন্ধু-বান্ধবের
কাছে নিজের কৃত পাপ সম্পর্কে অবগত করা যাবে। এতে কোনো গোনাহ হবে না। তবে এমনি এমনি
কারো কাছে নিজের গোনাহকে প্রকাশ করা যাবে না।
তেমনী ভাবে সওয়াবের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও নিয়ত ঠিক রেখে
তাতে অংশগ্রহণ করা যাবে বা প্রকাশ করা যাবে।