জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
পরীক্ষার আসল উদ্দেশ্য হলো আপনি যা শিখেছেন তা যাচাই করা।
যদি কিছু সম্পর্কে নিশ্চিত না হন, তবে নিজের জানা অনুযায়ী উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা যাবে।
তবে জেনেশুনে পুরোপুরি ভুল তথ্য লিখে দেওয়া যাবেনা,কেননা এটা অনেক সময় নম্বর কমানোর কারণ হতে পারে।
অনেক পরীক্ষক আংশিক সঠিক বা কাছাকাছি উত্তরকেও আংশিক নম্বর দেন। তাই যেটুকু নিশ্চিত জানেন, সেটুকুই লিখে দেওয়া উত্তম।
ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা লেখা বা প্রতারণা করা জায়েজ নয়।
তবে অনুমান বা আন্দাজ করা—যদি উদ্দেশ্য হয় “যা জানি তার ভিত্তিতে চেষ্টা করা”—এতে সমস্যা নেই।
কিন্তু সম্পূর্ণ অজানা জিনিসকে জেনেশুনে সত্য হিসেবে লিখে দেওয়া মিথ্যার মধ্যে পড়ে, সেটা করা উচিত নয়।
(০২)
উলামায়ে কেরামগন এক্ষেত্রে মলের উক্ত স্থান খাওয়াকে নাজায়েজ বলেছেন।
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-
(০৩)
যতদূর পর্যন্ত হাড্ডি পাওয়া যায়, হাড্ডির শেষ সীমা পর্যন্ত ধৌত করবেন।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
তবে এর থেকেও সতর্ক থাকবেন।