আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আমার দুই ধরনের প্রশ্ন ছিল। আগেও অরশ্ন করেছি কিন্ত উত্তর খুব সংক্ষিপ্ত ছিল যে আমি কিছুই বুঝতে পারিনি / সব উত্তর দেয়া হয়নি। দয়াকরে বুঝিয়ে বলবেন সব কিছু ইনশা আল্লাহ।
১। আমার নানা মারা গেছেন। উনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। মসজিদ মাদ্রাসায় অনেক দান করেছেন, হুজুরদের সাথে চলাফেরা করতেন,(মৃত্যর এক মাস হয়েছে এখনও শুক্রবার আসলেই জুম্মার পরে বিভিন্ন মসজিদে হুজুররা দুয়ার আয়োজন করেন)  নাতিনাতনিদের প্রচন্ড ভালোবাসতেন, শুরুর জীবন থেকে দাড়ি, পাঞ্জাবিতে চলা ফেরা করেছেন, অনেকের জমিজমা দেখাশুনা করেছেন জীবনে কাউকে ঠকায়নি, প্রতি রমজানে ইত্তেকাফে বসতেন।  কিন্ত আমার নানা সালাত ঠিকভাবে আদায় করতেন না। যখন সুস্থ ছিলেন কয়েক ওয়াক্ত মসজিদে আদায় করতেন। শেষ ৩ মাস স্ট্রোক করে তা আর করতে পারেনি। আমরা অনেক বুঝাতাম নামাজ নিয়ে কিন্ত সে রাগ করে যেত, বলত আমার হিসাব লাগবেনা আল্লাহর কাছে।

তবে উনি মৃত্যুর আগের দিন রাত থেকে তওবা করেছেন। সবার কাছে মাফ চেয়েছেন, বয়সে ছোট তাদের থেকেও, বাচ্চাদের কাছেও। নিজেই বলেছেন উনি চলে যাবেন।  মৃত্যুর দিন সকালে তায়াম্মুম করেছেন ফজর পরেছেন এরপর মসজিদের ইমামকে কল দিয়েছেন তাকে তওবা করানোর জন্য, কালিমা পড়ানোর জন্য।  ইমামরাও তাই করেছেন। এবং তার কিছু   সময় পরেই উনি আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। উনি দেখতে একদম কালো ছিল কিন্ত মৃত্যুর পরে পুরা ফেইস ফর্সা হয়ে গেছিল।

 প্রশ্ন ১। মালাকুল মাউত চলে আসলে আর তওবা কবুল হয়না। কিন্ত আমার নানা চলে যাবার আগে প্রায় ১২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে তওবা করেছেন, নিজেই বলেছেন আর বাচবেনা। তবে কি আমরা ধরতে পারি উনি মাফ পেয়েছেন আল্লাহ চাইলে?
২। ওনার নিয়তে নফল সালাত, নফল রোজা, দান সাদকা  করি কিংবা এইযে এত দুয়া হচ্ছে মিলাদ হচ্ছে এগুলোর সওয়াব কি উনি পাবে ?

আরেক ক্যাটাগটির প্রশ্ন হচ্ছে,   ব্যাংক মানেই সুধ। ঘরে টাকা রাখা নিরাপদ না কিংবা কাগজের টাকা অনেক বছর জমানোও যায়না আবার নিজের কাছে থাকলে ভাংয়া হয় টাকা। এখন করনিয় কি টাকা জমানোর ক্ষেত্রে? ব্যাংকে রাখলে আমার সুধ হবেই সেই টাকা আমি যদি ব্যবহার নাও করি তারা তো আমার টাকার সুদ ঠিকই নিবে

1 Answer

0 votes
by (679,920 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১) 
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার নানাকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন বা ক্ষমা করে দিয়েছেন,এমনটি আশা করা যায়।
আপনারা এমনটি আশা করতে পারেন।

তদুপরি তার জীবনে কোনো নামাজ ছুটে গিয়ে থাকলে, কোন রোজা ছুটে গিয়ে থাকলে সেগুলোর ফিদইয়াহ দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।

তার উপর হজ্জ ফরজ হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে বদলী হজ্জ আদায়ের চেষ্টা করতে পারেন।

পাশাপাশি তার জন্য ঈসালে ছওয়াব করতে পারেন। সদকায়ে জারিয়াহ মূলক কোনো খাতে সদকাহ করতে পারেন।

হাদীসে রাসূল সাঃ বলেনঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ: إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন তার নেক আমল করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি পথ ছাড়া। একটি হল, সদকায়ে জারিয়া, দ্বিতীয় হল ইলম, যদ্বারা মানুষ উপকার পায়, এবং তৃতীয় হল, নেক সন্তানের দুআ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস  নং-৮৮৪৪, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৮০, মুসলিম, হাদীস নং-১৬৩১] 
★ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে যেসব কাজ করা যায়ঃ

মৃতের নামে সদকা করা।
কুরবানী করা।
মৃতের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা।
মৃতের জন্য দুআ করা।
ইস্তিগফার করা।
হজ্ব করা।

ইত্যাদি পূণ্যের কাজ করে মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সওয়াব করা যায়। যা কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে সুষ্পষ্টরূপে প্রমাণিত।

আরো জানুনঃ 

শরীয়তের বিধান হলো কুরআন কারীম তেলাওয়াত করে বা ছদকাহ করে ঈসালে ছওয়াব করা যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১/৩৭৫)

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা উপরোক্ত আমল করে আপনার নানার কবরে ছওয়াব পৌছিয়ে দিতে পারেন।

(০২) 
হ্যাঁ, তিনি এসব নেক আমলের ছওয়াব পাবেন।

তবে বিদ'আত মূলক কোনো কাজ করলে সেক্ষেত্রে যেহেতু ছওয়াব হবেনা,তাই এতে তিনি কিছুই পাবেননা।

★ব্যাংকে টাকা জমিয়ে রাখলে আপনি সুদ গ্রহণ না করলেও তারা যেহেতু সুদ গ্রহণ করবেই।

এমতাবস্থায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অ্যাকাউন্ট না খোলার কথাই উলামায়ে কেরামগন বলে থাকেন।

বিশেষ প্রয়োজনে একাউন্ট খুললে সেক্ষেত্রে সুদ গ্রহণে সহযোগিতার দরুন ইস্তেগফার পাঠ করা চালিয়ে যেতে হবে।

ব্যাংকে একাউন্ট খোলার বিধান জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...