আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন মেয়ে। আমি মেডিকেল স্টুডেন্ট। আমি মেয়েদের মেডিকেল এই পড়াশোনা করি। আমার যখন ১৬,১৭ বছর বয়স ছিল, তখন থেকেই আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে আমি কারো সাথে রাগ করে, জগড়া করে থাকতে পারি না৷ কেউ আমাকে অপমান করে চলে গেলেও, যদি আমার কোনো দোষ নাও থাকে তাও আমি চুপ করে অপমান শুনি। নিজে গিয়ে মাফ চেয়ে সব ঠিক করে ফেলি। এখন আমার ২৪ বছর বয়স। এই কয়েক বছরে আমি অনেক মানুষ এর সাথে রাগারাগি করে আগে থেকে নিজে নিজে যেয়ে কথা বলে সব ঠিক করেছি। কোনো দিনও মনের মধ্যে এটা ভাবি নি যে, আমার তো দোষ নাই। আমি কেন আগে কথা বলবো। আমি ভাবতাম আল্লাহ বলছেন মানুষ এর সাথে জগড়া করে নাকি ৩ দিনের বেশি থাকতে হয় না। আমি চাইতাম সবার সাথে মিলে মিশে থাকতে। তাই আগে আগে যেয়েই নিজে মাফ চেয়ে সব কিছু ঠিক করে নিতাম।

কিন্তু ইদানিং আমার সাথে অনেক অনেক ঘটনা ঘটেছে। আমি এগুলো নিয়ে ট্রমা তে আছি৷ আমি দোষ না করেও আমার মেয়ে ফ্রেন্ড রা আমার সাথে ইচ্চে মত বাজে ব্যবহার করে। ক্লাসে আমার সাথে ঠিক ভাবে কথা বলে না। আমাকে ইগনোর করে। এগুলোর জন্য কয়েকদিন ধরে আমি শুধু আল্লাহর কাছে কানতেছি আর দোয়া করতেছি আল্লাহ সব যেন ঠিক হয়ে যায়। তারা যেন আমার সাথে নরমাল হয়ে যায়। আমি তো আমার দিক থেকে চেষ্টা করতেছি নিজে ভুল না করেও। তাও তারা ঠিক হচ্ছে না। কথা বলে না।
আমি যখন আল্লাহর কাছে দোয়া করতে যাই, আল্লাহ তুমি তাদের সাথে আমার সব ঠিক করে দাও, যেহেতু এক ক্লাসে পড়ি। সারাদিন থাকতে হয়। তখনই আমার মনের মধ্যে চলে আসে দোয়ার মতন করে যে, তাদের সাথে ঠিক হইলে,  সম্পক ভালো হইলে, আমার ফ্যামিলির কারো কিছু হবে ( আল্লাহ না করুক). মানে আল্লাহর কাছে  ভালো কিছু চাইতে গেলে আমার একটা খারাপ দোয়া মনে মনে  এমন চলে আসে।  যেটা আমি করতে চাই না। এই খারাপ দোয়া আসার জন্য আমি আবার মাফ ও চাই আল্লাহর কাছে। আমি তো শুধু চাইতেছিলাম যেন তাদের সাথে আমার সব কিছু ঠিক হয়ে যায়। কোন খারাপ কিছুর বিনিময়ে না সেটা।

হুজুর এখন আমি দুইটা জিনিস নিয়ে খুব খারাপ অবস্থা তে আছি। এক, তারা আমাকে ইগনোর করে। দুই হলো আমি যে আবার যাবো তাদের সাথে মিল দিতে, বা তারাও যদি আসে আমার সাথে নরমাল হইতে তখন যদি আল্লাহ না করুক কারোর খারাপ কিছু হয়? যেহেতু আমার এমন দোয়া চলে আসতেছে। এটা ভেবে আমার কিছুই ঠিক করতে ইচ্ছা করে না। ঠিক না করেও আমি শান্তি পাইতেছি না। খাওয়া ঘুম পড়াশোনা সব অবস্থা খারাপ। এখন আমি কি করবো হুজুর?  আমি তাদের সাথে নরমাল হয়ে যাইতে চাই, মিল রাখতে চাই কিন্তু মনের মধ্যে আবার খারাপ কিছু ঘটার ভয়।( আল্লাহ না করুক)

প্রশ্ন :::: এখন খারাপ কিছুর ভয় পেয়ে কি আমি তাদের সাথে নরমাল হওয়ার চেষ্টা করবো না? নাকি এভাবেই জগড়া রেখে দিব? মনের সেই খারাপ দোয়া কি আল্লাহ শুনবেন? সেটা তো আমি ইচ্ছা করে করতেছি না।
আমি চাই শান্তি। সবার সাথে মিলে মিশে থাকতে। আমার জন্য দোয়া করবেন হুজুর  যাতে তারা মিল দিলেও, নরমাল হয়ে গেলেও আমার সাথে, আমার পরিবারের সাথে খারাপ কিছু না হয়। সাহায্য  করুন হুজুর।
by
মাফ করবেন। এটা লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। একবার মনে হয় খারাপ কিছু হওয়ার ভয়ে মিল না দিতে, নরমাল না হইতে। আবার মনে হয় খারাপ কিছু হবে নাকি হবে না সেটা তো জানি না। নিজে নিজে এমন ভাবাও তো শিরক৷ যেহেতু ইচ্ছা করে এমন দোয়া করি নাই। 

1 Answer

0 votes
ago by (669,750 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কোনো মুসলিমের সাথে তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা জায়েজ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مَيْسَرَةَ، وَأَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ السَّرْخَسِيُّ، أَنَّ أَبَا عَامِرٍ، أَخْبَرَهُم حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ هِلَالٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يَحِلُّ لِمُؤْمِنٍ أَنْ يَهْجُرَ مُؤْمِنًا فَوْقَ ثَلَاثٍ، فَإِنْ مَرَّتْ بِهِ ثَلَاثٌ، فَلْيَلْقَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ رَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامَ فَقَدِ اشْتَرَكَا فِي الْأَجْرِ، وَإِنْ لَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ فَقَدْ بَاءَ بِالْإِثْمِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ঈমানদারের জন্য বৈধ নয়, সে কোনো ঈমানদারের সঙ্গে তিন দিনের বেশি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন রাখবে। অতঃপর তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পর উভয়ে দেখা হলে একজন সালাম দিলে এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি তার সালামের উত্তর দিলে উভয়ই সালামের সাওয়াব পাবে। আর দ্বিতীয়জন সালামের উত্তর না দিলে গুনাহগার হবে। ইমাম আহমাদ এর বর্ণনায় রয়েছেঃ সালামদাতা সম্পর্কচ্ছেদের গুনাহ থেকে মুক্ত হবে।
(আবু দাউদ ৪৯১২)
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পরামর্শ,
আপনি আপনার বান্ধবীদের সাথে মিল হয়ে যাবেন।  অনিচ্ছাকৃত মনের সেই খারাপ দোয়া আশা করি আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেননা।

যারা আপনাকে এভাবে ইগনোর করে,কষ্ট দেয়,তাদের সাথে কম যোগাযোগ এর চেষ্টা করতে পারেন,কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে পারেন।
তবে সামনে দেখা সাক্ষাৎ হলে সালাম চালিয়ে যাবেন।

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...