আমার দুইটি প্রশ্ন ছিল।
১। আমার নানা মারা গেছেন। উনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। মসজিদ মাদ্রাসায় অনেক দান করেছেন, হুজুরদের সাথে চলাফেরা করতেন,(মৃত্যর এক মাস হয়েছে এখনও শুক্রবার আসলেই জুম্মার পরে বিভিন্ন মসজিদে হুজুররা দুয়ার আয়োজন করেন) নাতিনাতনিদের প্রচন্ড ভালোবাসতেন, শুরুর জীবন থেকে দাড়ি, পাঞ্জাবিতে চলা ফেরা করেছেন, অনেকের জমিজমা দেখাশুনা করেছেন জীবনে কাউকে ঠকায়নি, প্রতি রমজানে ইত্তেকাফে বসতেন। কিন্ত আমার নানা সালাত ঠিকভাবে আদায় করতেন না। যখন সুস্থ ছিলেন কয়েক ওয়াক্ত মসজিদে আদায় করতেন। শেষ ৩ মাস স্ট্রোক করে তা আর করতে পারেনি। আমরা অনেক বুঝাতাম নামাজ নিয়ে কিন্ত সে রাগ করে যেত, বলত আমার হিসাব লাগবেনা আল্লাহর কাছে।
তবে উনি মৃত্যুর আগের দিন রাত থেকে তওবা করেছেন। সবার কাছে মাফ চেয়েছেন, বয়সে ছোট তাদের থেকেও, বাচ্চাদের কাছেও। নিজেই বলেছেন উনি চলে যাবেন। মৃত্যুর দিন সকালে তায়াম্মুম করেছেন ফজর পরেছেন এরপর মসজিদের ইমামকে কল দিয়েছেন তাকে তওবা করানোর জন্য, কালিমা পড়ানোর জন্য। ইমামরাও তাই করেছেন। এবং তার কিছু সময় পরেই উনি আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। উনি দেখতে একদম কালো ছিল কিন্ত মৃত্যুর পরে পুরা ফেইস ফর্সা হয়ে গেছিল।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে মালাকুল মাউত চলে আসলে আর তওবা কবুল হয়না। কিন্ত আমার নানা চলে যাবার আগে প্রায় ১২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে তওবা করেছেন, নিজেই বলেছেন আর বাচবেনা। তবে কি আমরা ধরতে পারি উনি মাফ পেয়েছেন আল্লাহ চাইলে? আমি কি মৃত্যুকে ভালো মৃত্যু ধরে পরকালে সাক্ষাতের আশা রাখতে পারি আমার নানার সাথে? আমার অন্তরটা দুমড়ে মুচড়ে যায় ওনার জন্য।
আরেকটি প্রশ্ন হচ্ছে, ওনার নিয়তে নফল সালাত, নফল রোজা, দান সাদকা করি কিংবা এইযে এত দুয়া হচ্ছে মিলাদ হচ্ছে এগুলোর সওয়াব কি উনি পাবে?
২। ব্যাংক মানেই সুধ। ঘরে টাকা রাখা নিরাপদ না কিংবা কাগজের টাকা অনেক বছর জমানোও যায়না আবার নিজের কাছে থাকলে ভাংয়া হয় টাকা। এখন করনিয় কি টাকা জমানোর ক্ষেত্রে।